চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

নির্বাচনের পর ঢালিউড গতিশীল হবেতো?

প্রায় আট বছর পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন প্রশাসকের মাধ্যমে পরিচালিত প্রযোজক সমিতি ভারমুক্ত হয়ে নিয়মিত নেতৃত্বের হাতে পড়বে। এতে নেতৃত্বের বন্ধ্যাত্ব যেমন ঘুচবে, তেমনি চলচ্চিত্রের প্রধান সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত প্রযোজক সমিতির গতিশীলতায় চলচ্চিত্র শিল্পও গতিশীল হবে বলে মনে করছেন পরিচালক এবং শিল্পীরা।

এই নির্বাচনের ফলে বাংলা চলচ্চিত্র ঘুরে দাঁড়াবে, এমনটাই মনে করছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। প্রযোজক সমতির নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ও শিল্পী সমিতির নেতারা?

প্রযোজকদের নির্বাচন প্রসঙ্গে পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন বলেন, পরিচালকরা চলচ্চিত্রের সারেং ঠিকই তবে চলচ্চিত্র নামের জাহাজটির কাণ্ডারি কিন্তু প্রযোজক। কারণ জাহাজ না থাকলে সারেং থাকার প্রশ্নই আসেনা। অতএব নানা ধরণের জাহাজ বন্দরে নিশ্চিত করতে চলচ্চিত্রে নিয়মিত প্রযোজক প্রয়োজন। আর প্রযোজকদের স্বার্থ সংরক্ষণে দরকার নিয়মিত নেতৃত্ব। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেই দিকে ধাবিত হচ্ছে চলচ্চিত্র।

শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, প্রযোজক মানেই চলচ্চিত্রের নিশ্চয়তা। আর তার বিনিয়োগ যদি নিরাপদ না হয় তবে তিনি কেনো বিনিয়োগ করবেন? প্রযোজক সমিতির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রযোজকরা নিরাপত্তা পাবেন বিনিয়োগে। ফলে চলচ্চিত্র তার হারানো অবস্থান ফিরে পাবে এই বিশ্বাস করি। শিল্পীদের কাজের অভাব ঘুচবে এই আশায় আছি।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক কার্যনির্বাহী পরিষদের ২০১৯-২১ মেয়াদী নির্বাচনে ১৯ সাধারণ সদস্য পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪১ জন। মোট ভোটার ১৪০ জন। দুই সহযোগী সদস্য পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৯ জন। এখানে মোট ভোটার আছে ৫৪ জন। এবারের নির্বাচনে কোনো প্যানেল থাকছে না।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রযোজকরা এফডিসির জহির রায়হান ভিআইপি প্রজেকশন হলে ভোট প্রদান করছেন। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে দুই ধাপে।

প্রথমে সাধারণ সদস্যরা ১৯ জন নির্বাহী সদস্যকে নির্বাচিত করবেন। এরপর ১৯ জন মিলে সম্পাদকীয় পদের জন্য ১০ জনকে নির্বাচিত করবেন। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মিরাজুল ইসলাম উকিল। সদস্য হিসেবে থাকবেন মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন (উপসচিব), মো. খাদেমুল ইসলাম (সহকারী প্রোগ্রামার)। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন আবদুর রহিম খান (যুগ্ম সচিব), সদস্য আবদুছ সামাদ আল আজাদ (যুগ্মসচিব), সৈয়দা নাহিদা হাবিবা (উপসচিব)।