কামাল আহমেদ মজুমদার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একজন পরীক্ষিত নেতা। জিয়া এবং জেনারেল এরশাদ সরকার থেকে বার বার আঘাত আসা সত্ত্বেও তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে কখনো পিছু টান দেননি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এই সৈনিক বৃহত্তম মিরপুরের একমাত্র নির্বাচিত এমপি ছিলেন। বর্তমানে এই মিরপুরকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যার একটি আসনের এমপি এখন তিনি।তিনি ২০০১৮, ২০০৪, ২০০৯ ও ২০১৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
কামাল আহমেদ মজুমদার জন্ম ৩ মার্চ ১৯৫০ ফেনী জেলায়।পৈতৃক বাড়ি ফেনী জেলার পরশুরামে। তিনি স্নাতক পাশ। পেশায় ব্যবসায়ী, কামাল আহমেদ মজুমদার রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন আলহাজ কামাল আহমেদ মজুমদার।
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত । কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের অন্যতম পাইওনিয়ার তিনি। গার্মেন্টস শিল্পের শ্রেষ্ঠ রপ্তানিকারক হিসেবে ৫ বার সিআইপি নির্বাচিত হন তিনি। মোহনা টেলিভিশনের চেয়ারম্যান এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। নিজ উদ্যোগে বৃহত্তর মিরপুরে গড়ে তুলেছেন অসংখ্য স্কুল, কলেজ, এতিমখানা মাদ্রাসা ও মন্দির। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি একান্ত সাক্ষাতকারে নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তিনি।
প্রশ্ন : সরকারের সাথে এক হয়ে কাজ করা এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণের তাগিদ থাকে-এই প্রত্যাশা পূরণ করবেন কিভাবে?
কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি : আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে।জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছেন- ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। যদিও আমরা এখন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি তাই এই সূচকগুলো আমাদেরকে ধরে রাখতে হবে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত উন্নয়নের বর্তমান সূচকগুলো ধরে রাখতে পারলে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হবো।এই জন্যে আমাদের সবাইকে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হবে। শুধু দেশের মন্ত্রীদের পরিশ্রম করলে হবে না। দেশের আপামর জনগণ সবাইকে পরিশ্রম করতে হবে। ইতিমধ্যে আমাদের দেশের অনেক বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান- সেগুলো দীর্ঘ দিনের পুরনো মেশিনপত্র যন্ত্রপাতি দিয়ে চলছে। এইগুলো পরিবর্তন করে নতুন যন্ত্রপাতি বসানো হচ্ছে। সরকারি একটিমাত্র সার কারখানা রয়েছে। হোলসিম থেকে শুরু করে নতুন নতুন বেশ কয়েকটি সার কারখানা তৈরি হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন সৌদি আরব যান তখন তাদের সাথে একটি এমওইউ স্বাক্ষর হয়েছে। সেই চুক্তির আলোকে পুরনো সরকারি সার কারখানা নতুন অবকাঠামো নিয়ে গড়ে উঠছে। সেখানে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।এই কারখানা নতুনভাবে হলে সারের মনোপলি ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে এটাকে ধরে রাখতে হলে আমাদের প্রয়োজন ভাল বীজ, পানি ও সার। পুরাতন মেশিন দিয়ে সার উৎপাদনের ফলে আমাদের যে পরিমাণ উৎপাদন হওয়ার কথা তা হয় না। সৌদির সাথে চুক্তির আলোকে ঘোড়াশালের দুটি কারখানাকে একত্রিত করে একটি সার কারখানা করা হবে। দশ হাজার কোটি টাকার এটি প্রকল্প। এই প্রকল্প ইতিমধ্যে মন্ত্রী পরিষদে পাশ হয়েছে এবং এই কাজও সহসাই শুরু হবে।
প্রশ্ন : স্পেশাল ইকনোমিক জোন এর ব্যাপারে কিছু জানতে চাই?
কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি : ১০০ টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন। এই সব অঞ্চলের কয়েকটিতে কাজ শুরু হয়েছে। জমি বরাদ্দের কাজ চলছে। এটি নিয়ে আজও আমরা সচিব সহোদয়ের সাথে আলাপ আলোচনা করেছি। বিসিক এর চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করেছি। এই জমিগুলো যাদের বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে উদ্যোক্তা যারা- তাদের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া যে, এই সময়ের ভেতরে এই শিল্প কারখানাগুলো স্থাপন করতে হবে। তাদেরকে বসে থাকলে চলবে না। কারণ আজকে দ্রুততার সাথে দেশ এগিয়ে চলছে। শুধু বাংলাদেশ না। এই গতির সাথে আমরাও এগিয়ে যেতে চাই। নতুন নতুন শিল্প কারখানা স্থাপন করে বেকার সমস্যার সমাধান করতে চাই।
প্রশ্ন : ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা তৈরি পোশাক শিল্পে রয়েছে। কিন্তু শ্রমিক অসন্তোষ হচ্ছে তাদের মজুরী নিয়ে। এই লক্ষ্য অর্জনে চ্যালেঞ্জ রয়েছে?
কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি : বাংলাদেশের যে উন্নয়ন হচ্ছে তা দেখে অনেকের সহ্য হচ্ছে না। যারা এই দেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। তারা কিন্তু বসে নেই। তারা ষড়যন্ত্র করছে। সম্প্রতি মিরপুরে দেখেছি- গার্মেন্টস বন্ধ করে দিয়ে শাবল, রামদা ও লাঠিসোটা হাতে নিয়ে মারামারি করছে। এরা কিন্তু শ্রমিক না? শ্রমিকের নামধারী সন্ত্রাসী আমি বলবো। দেশে যদি একটি অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করতে পারে তাহলে আমাদের উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত হবে। যারা কারণে তারা এই কাজগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে করছে। বেকার সমস্যার সমাধান করতে হবে। শিল্প কলকারখানা স্থাপন করতে হবে। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা কলকারখানা স্থাপনের পাশাপাশি শিল্প বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। শিগগিরই দেশে শিল্প বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে।কারণ আমাদের ছেলেমেয়েরা যদি কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত না হয় তাহলে তারা বিদেশে গেলেও বেশি আয় করতে পারবে না। এখানেও ভাল কিছু হবে না। এই কারণে কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হচ্ছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে। এখানে নিজেদের কারখানায় চাকরি হবে এবং বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়েও আমাদের ছেলেমেয়েরা বেশি আয় করতে পারবে।
প্রশ্ন : আপনি টানা চতুর্থ বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মানুষের সাথে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন নিজের এলাকায়। মাঠের রাজনীতিতে আপনি সক্রিয়। আপনার এলাকার মানুষ আপনাকে ভীষণ ভালবাসে?
কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি : এইবার নিয়ে আমি ৬ বার নির্বাচন করেছি। গঠনমূলক কাজে বিশ্বাসী আমি। আমার কাছে সবাই সমান। বিভিন্ন সমস্যা এবং ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসে মানুষ। আমি চেষ্টা করি মানুষের উপকার করার জন্যে। কারো লেখাপড়ার খরচ, কেউ পরীক্ষার ফরম ফিল আপ করতে পারে না, কারো মেয়ের বিয়ে দিতে পারে না আবার কারো বা চিকিৎসার টাকা নেই। সবাইকে আমি যথাসাধ্য সাহায্য করি। আমার কোন শত্রু নেই। আমি মানুষকে যথেষ্ট সময় দেই।তাই নিজের পরিবারকে সময় দিতে পারি না। রাত ১১ টা ১২ টা পর্যন্ত নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে থাকি। জনগণ আসেন তাদের নানা সমস্যা নিয়ে আমি কথা বলি সমাধান করার চেষ্টা করি। আপনারা জানেন বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মণিপুর স্কুল এন্ড কলেজ আমার গড়া। ৪০ হাজার ছেলেমেয়ে এই প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে।
প্রশ্ন : ঢাকার দুইজন মন্ত্রীর নামই কামাল। একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামাল খান কামাল এবং আপনি কামাল আহমেদ মজুমদার।আপনারা দুইজন মিলে ঢাকার উন্নয়নে কাজ করছেন?
কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি : মাননীয় মন্ত্রীর সাথে আমার সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে আমাদের সম্পর্ক বিদ্যমান।আমরা দুজনে মিলে আলাপ আলোচনা করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী এই দেশে শিল্প বিপ্লব ঘটাতে চাই।কারণ এই দেশের গার্মেন্টস শিল্পের অন্যতম একজন পাইওনিয়ার আমি। বৃহত্তর মিরপুর আগে টঙ্গী পর্যন্ত ছিল আমার এলাকা। বৃহত্তর মিরপুরের যখন সংসদ সদস্য ছিলাম- রাস্তাঘাটের উন্নয়ন সাধন করেছি। মিরপুরে এমন কোন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও মন্দির নেই যেখানে আমি লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান দেইনি। গার্মেন্টস শিল্পের শ্রেষ্ঠ রপ্তানিকারক হিসেবে ৫ বার সিআইপি নির্বাচিত হয়েছি।যা আয় করেছি তা জনগণের উন্নয়নে ব্যয় করেছি। স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দান করেছি। শিল্প মন্ত্রণালয়ে যেহেতু জননেত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি এবং এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী দুইজন মিলে চেষ্টা করবো- এই মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজিয়ে শিল্প বিপ্লব ঘটানোর।
প্রশ্ন : ঢেলে সাজানো এবং শিল্প বিপ্লবের প্রাথমিক প্রস্তুতি কি নিচ্ছেন?
কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি : এই ব্যাপারে সৌদি আরব অর্থ সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী যখন সৌদি আরব গিয়েছিলেন তখন ২৬টি এমওইউ স্বাক্ষর হয়। সেই চুক্তির আলোকে আমাদের এখানে ভারী শিল্প স্থাপনে সৌদি আরব জার্মান টেকনোলজির মাধ্যমে ইতিমধ্যে সব কাজ সম্পন্ন করেছে।
প্রশ্ন : ঢাকার বাইরে শিল্প কারখানা স্থানান্তরের কোন পদক্ষেপ নেবেন কি?
কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি : ইতিমধ্যে আপনারা জানেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১০০টি শিল্পাঞ্চল ঘোষণা করেছেন। আমরা চাই ঢাকা শহরে কোন শিল্প কারখানা থাকবে না। ইকনোমিক জোনে আমরা তাদেরকে জমি বরাদ্দ দিচ্ছি, গ্যাসের এবং পানির ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। চামড়া শিল্প ঢাকা থেকে সাভারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আস্তে আস্তে সব শিল্প কারখানা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এর পাশাপাশি ঢাকা মহানগরীকে বসবাস উপযোগী করার জন্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাস্তাঘাট সম্প্রসারণ, নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি এবং সিটি কর্পোরেশনের ময়লা আগে যেভাবে পড়ে থাকতো তা কিন্তু এখন আর দেখা যায় না।
প্রশ্ন : ভাসমান মানুষদের জন্যে কোন পরিকল্পনা আছে কি?
কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি : জননেত্রী শেখ হাসিনা ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছেন- গ্রামকে নগরায়ন করা হবে এবং সেখানে ক্ষুদ্র কুটির শিল্প স্থাপন করে গ্রাম থেকে মানুষ যাতে শহরমুখি না হয় সেই জন্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যখন ১০০ টি ইকনোমিক জোনে কাজের সুযোগ হবে তখন ভাসমান মানুষ ঢাকায় থাকবে না।
প্রশ্ন : শিল্প মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি পিছিয়ে দিতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে শোনা যায়- এই বিষয়ে কি বলবেন?
কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি : এটি আমি আপনার সাথে একমত যে, আমাদের শিল্প কারখানা গড়ে উঠুক তা অনেকে চায় না। অনেক ব্যবসায়ী মহলও তা চায় না। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে চারটি পেপার মিল রয়েছে কিন্তু তা রুগ্ন শিল্প হিসেবে বন্ধ রয়েছে। আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রুগ্ন শিল্প আবার চালু করবো আমরা। যারা ট্রেড ইউনিয়ন নেতা- আমি ইউরোপে আমেরিকাতে দেখেছি তারা কিন্তু কাজ বেশি করে। তাদের দেখাদেখি অন্য সব সাধারণ শ্রমিকরা কাজ করে। তাদেরকে বেশি করে কাজ করতে হবে। ব্যাংক থেকে সরকার টাকা নিয়ে শিল্প কলকারখানা করে দিচ্ছে আর তারা তাকে রুগ্ন করে ফেলছে। এটা তো হয় না? আপনাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। আমরা চাই মালিক শ্রমিক সবাই মিলে কাজ করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।তার জন্যে দরকার দেশপ্রেম আর সততা ।
প্রশ্ন : যে কোন স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে?
কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি : অবশ্যই। সবাই মিলে সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে দেশের জন্যে লড়তে হবে।
প্রশ্ন : ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্যে ব্যাংক লোক সিঙ্গেল ডিজিটে এখনও বাস্তবায়িত হয়নি?
কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি : আইন যাতে বাস্তবায়িত হয় তার জন্যে দরকার কঠোর পদক্ষেপ। আমরা আইন করি কিন্তু তার বাস্তবায়ন করতে পারি না। জননেত্রী শেখ হাসিনা কঠোর হস্তে এই সব বাস্তবায়ন করবেন আশা করি। সড়কের দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে আমরা আইন করেছি। প্রধানমন্ত্রী কাউকেই ছাড় দেন না। ব্যাংকের ইন্টারেস্ট সিঙ্গেল ডিজিটের ব্যাপারে নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন তার বাস্তবায়ন দরকার। নতুন অর্থমন্ত্রী খেলাপি ঋণ ও সিঙ্গেল ডিজিট ইন্টারেস্টের ব্যাপারে অবশ্যই পদক্ষেপ নেবেন আশা করি।