পয়লা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের ক্যান্টিনে গরুর মাংস বিতরণকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি নির্ধারিত সময়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এএম আমজাদ এবং চারুকলার ডিন অধ্যাপক ড. নিসার হোসেন চ্যানেল আই অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৭ এপ্রিল কারুশিল্প বিভাগের চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহাম্মদ মোল্লাকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের এ কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল ৭ কর্মদিবসের মধ্যে।কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন প্রাচ্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান মলয় বালা এবং সহকারী প্রক্টর ও মৃৎশিল্প বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবদেন দিতে না পারলেও, ২ মে এর মধ্যে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক রবিউল ইসলাম।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
চ্যানেল আই অনলাইনকে অধ্যাপক রবিউল ইসলাম বলেন: আমরা তদন্তের কাজ শেষ করে এনেছি। এখন প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। আগামী মাসের দুই তারিখের মধ্যে এ প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে পারবো বলে আশা করছি।
‘বিস্তারিত সাক্ষাতকার গ্রহন এবং আনুসঙ্গিক কাজ বিস্তারিত করায় এ প্রতিবেদন দিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।’ বলেন তদন্ত কমিটির এ সদস্য।
পয়লা বৈশাকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরুর আগে চারুকলার ক্যান্টিন থেকে হিন্দু শিক্ষার্থীদের মাঝে গরুর মাংস বিতরণ করা নিয়ে ক্যান্টিনে ভাঙচুর এবং এর পরিচালককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা হিসেবে ক্যান্টিনের দায়িত্ব থেকে এর পরিচালক জাকিরকে সরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ যিনি বিশ্ববিদ্যালয়েরও একজন কর্মচারি ছিলেন। পরবর্তীতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে কর্মরত জাকিরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকেও বরখাস্ত করা হয়। কারণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষ বলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কেউ কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে অন্য কাজ করা চাকরি বিধির লঙ্ঘন। এ কারণেই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।