চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

নিরাপদ হোক জনগণের ঈদযাত্রা

প্রতিবছর দুটি ঈদ করতে যাওয়া মানুষদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। অগ্রিম টিকিটের জন্য যুদ্ধের পরে দূরপাল্লার যানবাহনে করে নাড়ির টানে শেকড়ে ঈদ করতে যাওয়া জনগণকে পদে পদে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

এতো কিছুর পরে কাঙ্খিত যানে চেপে বসলেই বাড়ি যাবার নিশ্চয়তা নেই, সড়ক-মহাসড়কে অপেক্ষা করছে দুর্ঘটনা ও জ্যাম। ট্রেন যাত্রায় কোনো জ্যাম না থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে শিডিউল বিপর্যয় একটি বড় সমস্যা। বাসে অতিরিক্ত ভাড়াসহ অতিরিক্ত যাত্রী, ট্রেনের ছাদে যাত্রী, নৌযানে উপচে পড়া ভিড় সামাল দেওয়া সম্ভবই হয় না নানা কারণে।

এতো সমস্যার মধ্যে আশার কথা হচ্ছে, গতবছর থেকে ঈদযাত্রায় জ্যাম মোটামুটি সহনীয় মাত্রায় ছিল, যা এবছর এখন পর্যন্ত রয়েছে। এছাড়া গত সপ্তাহে বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণাধীন সড়ক ও সেতুগুলো যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। ট্রেনে কিছুটা বিলম্ব হলেও খুব বড় সমস্যা হচ্ছে না। নৌপথেও ভিড় কমানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন।

তবে মহাসড়কে কোরবানি পশু আনা-নেওয়ার কারণে বাড়তি যানবাহন এখন সড়কগুলোতে। এছাড়া রয়েছে অপরিকল্পিত পশুর হাট, প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের কারণে হাটের সংখ্যা কম হলেও একটা-দুইটা যা বসছে তাতেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

ঈদযাত্রার আসল পরিস্থিতি বোঝা যাবে মঙ্গলবার থেকে। সোমবার শেষ কর্মদিবসের পরে পূর্ণমাত্রায় ঘরমুখো হবে মানুষ। রাজধানীর আশেপাশের শিল্প এলাকাসহ বিভিন্ন মুখী জনগণের চাপ সামাল দেয়া যেকোনো প্রস্তুতিতেই যে কঠিন, তা অস্বীকার করার উপায় নেই।

প্রতিবছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ঈদযাত্রায় সড়ক, রেল ও নৌপথ নিরাপদ রাখতে সরকার চেষ্টা এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিলে ভোগান্তি কমতে পারে। এছাড়া নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতে পরিকল্পিত ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলাচলে জনগণও তাদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করবেন, এই আমাদের প্রত্যাশা।