বাংলাদেশে ন্যাশনাল নাম্বারিং প্ল্যান অনুযায়ী ৫ ডিজিটের শর্টকোড চালু করতে আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত সময় চেয়েছে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশেন (বিএমপিআইএ)।
সোমবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি-কে এ বিষয়ে লিখিত অনুরোধ জানিয়েছেন মোবাইলফোন আমদানিকারকদের সংগঠনের জেনারেল ম্যানেজার মনিরুল বাশার।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বরাবর লেখা ওই চিঠিতে তিনি জানান, ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল নাম্বারিং প্ল্যান ২০১৭ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দীর্ঘদিন দিন ধরেই ৪ ও ৫ ডিজিটের শর্টকোড ব্যবহৃত হচ্ছে। টেলিকম অপারেটররা ৫ডিজিটের শর্টকোড চালু করতে ইতোমধ্যেই কারিগরি সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আগামী ৩০ আগস্টের পর ৪ডিজিটের শর্টকোড বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ মোবাইল ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কিংবা এর কোনো সদস্যকেই লিখিত ভাবে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। এই ডিজিট উন্নয়ন প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে হলে আরও সময় প্রয়োজন। এজন্য আগামী ৩১ মার্চের আগ পর্যন্ত মোবাইল ইম্পোর্টার্সদের জন্য বরাদ্দকৃত ৫৯৫৯ শর্টকোর্ডটি চালু না রাখলে একদিকে আমদানিকারকরা যেমন মোবাইল ফোন সচল হওয়া সংক্রান্ত তথ্য পাবেন না, তেমনি গ্রাহকের বিক্রয়োত্তর সেবা প্রাপ্তিতেও জটিলতা সৃষ্টি হবে। ’
কারিগরি সীমাবদ্ধতার কারণে শর্টকোড ৫ ডিজিটে রূপান্তর কেবল ডেটাবেজ ও পোর্ট হালনাগাদ করার ওপরই নির্ভর করছে না জানিয়ে মনিরুল বাশার বলেন, ‘মোবাইল ফোনের ভেতরেই ৫৯৫৯ শর্টকোডটি সংরক্ষিত থাকে। তাই ইতোমধ্যেই যেসব ফোন আমদানি করা হয়েছে তার কোড পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এগুলো বিক্রি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ৪ডিজিটের এই শর্টকোড চালু না রাখার কোনো বিকল্প নেই।’
অবশ্য ইতিমধ্যেই নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে শর্টকোড উন্নয়নের বিষয়টি আমদানিকারকরা নিশ্চিত করেছেন। তাই আগামীতে আমদানীকৃত ফোনগুলোতে ৫ডিজিটের শর্টকোড কাজ করবে বলে তিনি জানান।