কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের প্রশ্নে এবার নিজ দলে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৬ টা থেকে ৮টা পর্যন্ত কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা এ বিষয়ে ভোট দেবেন।
ভোট শুরু হওয়ার আগে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে দেয়া এক বক্তৃতায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বলেন, আমি এ যাবৎ যা পেয়েছি তার সবকিছু দিয়েই অনাস্থা ভোটের মোকাবেলা করবো।
তিনি আরো বলেন, নতুন প্রধানমন্ত্রীকে আর্টিক্যাল ৫০কে আরো প্রসারিত করতে হবে। ২৯ মার্চ যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া আরও বিলম্বিত করা প্রয়োজন।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এ অনাস্থা ভোটের ফলাফল জানা যাবে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
তবে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র সমর্থকদের দাবি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার কারণেই তার বিরুদ্ধে এই অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা হয়েছে।
টেরেসা মে বলেন, কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের পরিবর্তন আমাদের দেশের ভবিষ্যতকে হুমকির মুখোমুখি করবে এবং অনিশ্চয়তায় ফেলে দিবে।
ব্রেক্সিট চুক্তি রক্ষার উদ্দেশ্যে ইউরোপীয় নেতাদের পাশাপাশি ইইউ’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন টেরেসা। এর আগে পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে ব্রেক্সিট চুক্তিটি পাস না হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকার কারণে মঙ্গলবার টেরেসা মে ভোট পিছিয়ে দেন।
টেরেসা বলেন, কনজারভেটিভ পার্টি দেশের জনগণের জন্য কাজ করে, ব্রেক্সিটের বিষয়ে জনগণের জন্য ভোটের আয়োজন করে। আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই এই নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এই কাজটি শেষ করেতে প্রস্তুত আছি।
দলের নেতৃত্বে আসতে আগ্রহী ৪৮ জনের পাঠানো চিটির পরই টেরেসা মে’র অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠে। টেরেসা মে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পরপরই ২০১৬ সালে ব্রিটেন ব্রেক্সিট থেকে বের হওয়ার বিষয়ে ভোট দেয়। এরপর থেকেই তার নেয়া ব্রেক্সিট পরিকল্পনা দলের মধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়।
হাউজ অব কমনসে কনজারভেটিভ পার্টি সংখ্যা গরিষ্ঠ হওয়ায় দলীয় প্রধানই সাধারণত প্রধানমন্ত্রী হবেন এটাই প্রত্যাশা করা যায়। তবে যদি টেরেসা মে দলীয় প্রধানের পদটি হারান তাহলে পরবর্তী দলীয় প্রধান নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনিই তত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব পালন করবেন।