নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে ওয়ানডে সিরিজে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়বে বলে মনে করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনি বলেছেন, সাউথ আফ্রিকা ফেভারিট হলেও ওয়ানডে ফরম্যাটে টিম টাইগার্সের সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় প্রোটিয়ারা চাপে থাকবে।
দাতব্য কাজে অংশ নেয়ার ধারাবাহিকতায় অটিস্টিক শিশুদের অর্থসহায়তা ও তাদের সঙ্গে ইফতারে অংশ নেন টাইগার অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। উপলক্ষ নিজের প্রতিষ্ঠান কসমিক জোভিয়ানের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সোসাইটি ফর দ্য ওয়েলফেয়ার অব অটিস্টিক চিলড্রেন সোয়াকের ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে ইফতার করার পর কেক কেটে উদযাপন করেন তিনি। পরে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ নিয়েও কথা বলেন সাকিব। সিরিজে একটি ম্যাচ জিতলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার গৌরব অর্জন করবে বাংলাদেশ। সাকিব বললেন, এই সমীকরণের চিন্তা আছে, তবে তার আগে ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করছেন তারা।
‘এখানে যদি একটা ম্যাচ জিততে পারি আমাদের জন্য ভালো, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সেটা হলে তো অবশ্যই খুব ভালো কিন্তু আমাদের টিম এর কথা চিন্তা করলে আমরা যদি ম্যাচ জিততে পারি সেটাই হবে আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ওটা পরের কথা তবে হয়তো ব্যাক অফ মাইন্ড অনেকেরই এটি মনে থাকবে।’ এমনটাই বললেন এই অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশ-সাউথ আফ্রিকা ক্রিকেট সিরিজের টি২০ ম্যাচে হারলেও, ওয়ানডে নিয়ে আশাবাদী তিনি। বললেন, আমাদের শুরুটা হয়তো অতো ভালো হয়নি, তবে আমরা জানি যে ওয়ানডেতে আমরা অনেক ভালো দল। শেষ বেশ কিছুদিন আমরা অনেক ভালো খেলছি। জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে শুরু করে আমরা খুবই ভালো অবস্থায় আছি। তাই আমার কাছে মনে হয়, টাফ কম্পিটিশন অবশ্যই হবে। আমরা যতোগুলো কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছি আমার কাছে মনে হয় তাদের মধ্যে সাউথ আফ্রিকাই সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ। তাই আমাদের জন্য অনেক কঠিন হবে তবে একই সঙ্গে আমরা আমাদের সেরাটা খেলতে পারলে যেভাবে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ পারফরম করছে অবশ্যই ম্যাচ জেতা সম্ভব।
ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই বিশ্বসেরা হওয়ার কৃতিত্বের একমাত্র অধিকারি সাকিব বললেন, ওয়ানডে সিরিজের আগে ইনজুরিমুক্ত হয়ে এনামুুল হক বিজয় ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ফেরা টিম আত্মবিশ্বাসের রসদ হিসেবে কাজ করবে।
সাকিব আরো বলেন, আমাদের দলে এখন এতো কম্পিটিশন, যে কোনো প্লেয়ারই দল থেকে যাওয়া বা আসার পেছনে বড় বড় কারণ থাকতে পারেন। সাধারণত উইনিং কম্বিনেশনে পরিবর্তন কেউ আনতে চায় না। যারা আসছে তারাও ভালো পারফরমার আবার যারা দলে থাকতে পারেনি তারাও কিন্তু কেউই খারাপ করেনি। তাই এটা আমাদের ক্রিকেটের জন্যই খুব ভালো লক্ষণ যে এতো ভালো একটা পরিবেশ বিরাজ করছে।
১০ ও ১২ জুলাই প্রথম দুটি ওয়ানডে মিরপুরের হোম অফ ক্রিকেটের শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সিরিজের শেষ ওয়ানডে হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৫ জুলাই।