সাত দশক পর শীর্ষ পর্যায়ে আসা ব্রেন্টফোর্ডের কাছে হার, মৌসুমে অত্যন্ত বাজে শুরুর পর অবনমন অঞ্চলে ঘোরাফেরা— সবমিলিয়ে প্রিমিয়ার লিগে জয়ের খোঁজে থাকা গানারদের উপর বিরক্ত ছিল ভক্ত-সমর্থকরা।
মিকেল আর্তেতার অধীনে ধীরে ধীরে নিজেদের পরিচয় খুঁজে পাচ্ছে দলটি। সমর্থকরাও গানারদের আবারও সমর্থন যুগিয়ে চলেছেন। মৌসুমে বাকি ১৭ ম্যাচে আর্সেনাল বস দেখছেন কঠিন কিন্তু সম্ভাব্য সম্ভাবনাও। পেছনে অন্যতম প্রভাবক ভাবছেন ‘খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের শক্তিশালী সমর্থন’।
আর্সেনাল বস নিজেদের সঙ্গে সমর্থকদের সংযোগকে মনে করছেন দলের অন্যতম শক্তি। সাক্ষাৎকারে আর্তেতা বলেছেন, ‘সংযোগ হচ্ছে এমনকিছু, আমার মতে যা হারিয়ে গেছে। এটি আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তিগুলির একটি।’
সমর্থনের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তিনি জানালেন, ‘আমাদের ক্লাবের ক্ষমতা, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সেই সাথে চাহিদা সম্পর্কে জানতে হবে। প্রত্যেককে প্রত্যহ শ্রেষ্ঠত্বের সন্ধানে চাপ দেয়ার জন্য দাবিগুলি বহাল রাখতে হবে— যা ক্লাবটি দাবি করে। কখনও কখনও সঠিক সমর্থন এবং আমরা কোথায় আছি তা বুঝিয়ে দেয়।’
‘এসব ক্ষেত্রে ২০০০ সালের দলটিকে এই দলের সঙ্গে তুলনা করতে পারবেন না। কারণ তারা দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রেক্ষাপট— লিগ ভিন্ন, খেলোয়াড়ের প্রোফাইল ভিন্ন, কিন্তু লক্ষ্য একই- সেরা হওয়া। এটাই আমাদের সব খেলোয়াড়ের লক্ষ্য।’ বলেন আর্তেতা।
চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের শুরুটা ভয়াবহ হয়েছে আর্সেনালের। প্রথম ম্যাচে সাত দশক পর শীর্ষ পর্যায়ে উঠে আসা ব্রেন্টফোর্ডের কাছে হেরেছে গানাররা। পরের ম্যাচে চেলসির কাছে, পরে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ভরাডুবি। এই তিন ম্যাচে কোনো গোল দিতে পারেনি আর্সেনাল।
পরে অবশ্য নিজেদের খুঁজে পেয়েছে। লিগ টেবিলে ২১ ম্যাচে ১১ জয়, ৩ ড্র আর ৭ হারে ৬ নম্বরে পৌঁছেছে গানাররা। ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে থাকা আর্তেতার দলের উপরে আছে ওয়েস্ট হ্যাম (৩৭ পয়েন্ট), ম্যানইউ (৩৮), চেলসি (৪৭), লিভারপুল (৪৮) এবং সবার উপরে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে ম্যানসিটি।