নিখোঁজ ছেলের খোঁজ পাওয়ার পর তার সঙ্গে পরামর্শ করে প্রাণভিক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন। বুধবার দুপুরে স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাত শেষে কাশিমপুর কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আয়েশা খাতুন।
তিনি জানান, ছেলে ব্যারিস্টার আহমেদ মীর কাশেম তার স্বামীর আইনজীবী প্যানেলের সদস্য। এ ছাড়া তিনি পরিবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তাই প্রাণভিক্ষার আবেদনের সিদ্ধান্তের আগে তিনি ছেলেকে ফেরত চান। ছেলের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রাণভিক্ষার আবেদনের বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। যতক্ষণ সময় আছে, ততক্ষণ অপেক্ষা করতে চান। সময় শেষ হয়ে গেলে ভিন্ন কথা।
আয়েশা খাতুন বলেন, ‘বাবার জীবনের শেষ মুহূর্তে ছেলের কাছে থাকা একান্ত দরকার। ছেলেকে না পেলে মনের সন্তুষ্টিতে তাকে শেষ বিদায় জানাতে পারব না।’
তিনি বলেন, ‘সাক্ষাত করতে গেলে স্বামী মীর কাশেম আলী আমাকে বলেছেন, আমি অপেক্ষা করছি ছেলের জন্যে। তাকে পাওয়া গেলে সিদ্ধান্ত নিব রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করা হবে কি না। সাক্ষাত শেষে বিষয়টি আমরা জেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এসেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজ সাক্ষাত করতে এসেছিলাম, তার শেষ কাজগুলো কীভাবে সম্পন্ন করবো সে বিষয়ে পরামর্শ করতে। এটা শেষ দেখা নয়।’
এর আগে দুপুরে যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর সঙ্গে দেখা করতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে যান তার পরিবার। আর সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া রিভিউয়ের রায় মীর কাসেম আলীকে পড়ে শোনানো হয়।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে মীর কাসেম আলীর আবেদন খারিজ করে দেয়া আপিল বিভাগের রায়ের কপি কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
এ দিন সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে তার রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এরপরে প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে যে কোনো সময় কার্যকর করা হবে তার ফাঁসি।