চীনের বেইজিং থেকে হংকং যাওয়ার পথে ‘নিরুদ্দেশ’ হওয়া কলামিস্ট জিয়া জিয়া পুলিশ হেফাজতে আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী ইয়ান শিন। গত মঙ্গলবার প্লেনে ওঠার আগেই তাকে পুলিশ বিমানবন্দর থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়।
জিয়া জিয়ার আইনজীবী দেশটির গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিমানবন্দর পুলিশ তাকে জানিয়েছে, ১৫ মার্চ বিমানবন্দর থেকে তাকে পৌর পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দর শাখার কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাও ওই ঘটনায় জড়িত ছিলেন। তাই তারা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে জিয়া জিয়াকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
তবে ওই কলামিস্টকে ধরে নিয়ে যাওয়া বা কোথায় নিয়ে রাখা হয়েছে, এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে এখনো কিছুই জানানো হয়নি।
এর আগে ইয়ান শিন জানিয়েছিলেন, জিয়া জিয়া গত মঙ্গলবার হংকংগামী প্লেনে চড়ার আগে স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে তার স্ত্রীর সঙ্গে শেষ কথা বলেন। জিয়া জিয়া তখন জানান, তিনি হংকং যাওয়ার জন্য উড়োজাহাজে চড়তে যাচ্ছেন। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায় নি বলে বিবিসিকে জানান তিনি।
কিন্তু সেই রাতেই হংকংয়ে এক বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি সেখানে আর পৌঁছাননি। পরদিন একটি লাঞ্চ অ্যাপয়েন্টমেন্টেও যাননি জিয়া জিয়া।
কিছুদিন আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পদত্যাগ চেয়ে গত ৪ মার্চ প্রকাশিত একটি বেনামী চিঠির কারণে বেশ আলোচনায় আসেন ত্রিশোর্ধ এই কলামিস্ট। চিঠিটি রাষ্ট্র পরিচালিত একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয় এবং প্রকাশের কিছুক্ষণ পরই তা নামিয়ে ফেলা হয়।
ওই চিঠিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট জিনপিং অতিরিক্ত ক্ষমতা নিজের কুক্ষিগত করে রেখেছে এবং নিজেকে ‘পূজনীয়’ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টায় আছেন। তাই তার পদত্যাগ করা দরকার। চিঠিতে জিনপিংয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করা হয়।
জিয়া জিয়া ওই চিঠি প্রকাশের ব্যাপারে আগেই তার এক সম্পাদক বন্ধুকে সতর্ক করেছিলেন বলে দাবি করা হলেও ওই চিঠির ব্যাপারে কিছুই জানতেন না বলে ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন জিয়া জিয়া। ‘লয়্যাল কমিউনিস্ট পার্টি সাপোর্টারস’ নামে লেখা চিঠিটি আসলে কে লিখেছে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।