ব্যাঙ্গালুরু (কর্ণাটক), ভারত থেকে: বাবা বাংলাদেশের অধিনায়ক, দেশ-বিদেশে অন্যতম জনপ্রিয় এক ক্রিকেটার। তাতে কি, সাহেলের যে পছন্দ আরেকজনকে। তিনি তাসকিন আহমেদ!
শুনে নিশ্চয়ই আপনার অবিশ্বাস্য লাগছে। কিন্তু কিচ্ছু করার নেই, আসলেই তাই। তাসকিনের ব্যাপক ভক্ত মাশরাফিপুত্র সাহেল। আর এ তথ্য সাহেলের বাবা স্বয়ং মাশরাফি বিন মর্তুজাই দিয়েছেন।
ব্যাঙ্গালুরুতে শুক্রবার জুমার নামাজে যাওয়ার আগে আড্ডা হচ্ছিলো মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গে। তাসকিন আর মাশরাফিকে রেখে বাকিরা তখন টিম বাসে করে চলে গেছেন মসজিদে। ম্যাশ আর তাসকিনের জিম শেষ হতে দেরি হওয়াতেই হোটেলের গেইটে এক সঙ্গে পাওয়া গেলো জাতীয় দলের দুই পেসারকে।
তাসকিনের গায়ে হালকা কমলা রংয়ের পাঞ্জাবি আর মাশরাফির নীল টি শার্ট। গেভারডিন প্যান্টের নীচের অংশ ভাঁজ করা রেখেছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো নামাজের জন্য তৈরী হয়ে আসা দু’জনের।
কিন্তু দি রিজ কার্লটন হোটেলে পার্কিং থেকে তাদের নিজস্ব গাড়িটি কোনো কারণে হয়তো আসতে দেরিই করছিলো। তাই গল্প জমে গেলো আরও। সেদিনই ছিলো মাশরাফির মেয়ে হুমায়রা মর্তুজার জন্মদিন। মেয়েকে উইশ করার কথা জানিয়ে মাশরাফি শুরু করলেন ছেলের গল্প।
ম্যাশ বলেন,“আমার পোলা তাসকিনের ভক্ত, টিভিতে তাসকিনরে দেখলেই দুই হাত উপড়ে উঠাইয়া উহহু ওয়া উহহু করা শুরু কইরা দেয়।” বিশ্বাস করেন ওর চেহারায় অন্যরকম এক ভালো লাগা প্রকাশ পায়। তাসকিনরে খুব পছন্দ। ওই সেলিব্রেশনটাও দেখে খুব খুশি হয়।
পাশে দাড়ানো তাসকিন আহমেদ তখন হেসে কুটি কুটি।
কিছুক্ষনের মধ্যে চলে আসলো কালো রংয়ের হোটেল সার্ভিস। মাশরাফি আর তাসকিন উঠে রওনা হলেন ব্যঙ্গালুরু শহরের সুলতান শাহ মসজিদের উদ্দেশ্যে।
এর একদিন পরই এলো তাসকিনের জন্য অসম্ভব মন খারাপের একটি দিন। আর তার পরের দিন আইসিসির আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন আহমেদের জন্যই অভিভাবকসুলভ আবেগ চেপে রাখতে পারেন নি বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
অধিনায়ক বাবা আর তার দু’বছর বয়সী ছেলে সাহেলের ‘প্রিয়পাত্র’ তাসকিন আহমেদের জন্য থাকলো অনন্ত শুভ কামনা।