আসাদুজ্জামান বাবুল: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার রামশীলে পুলিশের পিটুনির শিকার হয়ে নিখিল তালুকদার নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পুলিশের এএসআই মো. শামীম ও তার সোর্স রেজাউলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কোটালীপাড়া থানার ওসি শেখ লুৎফার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন: ৭ জুন মধ্যরাতে নিহত নিখিলের ভাই মন্টু তালুকদার বাদী হয়ে এএসআই মো. শামীম হাসান ও কোটালীপাড়া পৌর এলাকার কয়খা গ্রামের রেজাউলকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
থানায় দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে: গত ২ জুন মঙ্গলবার নিহত নিখিল এলাকার অন্যান্যদের সাথে নিয়ে কোটালীপাড়ার রামশীল বাজার এলাকায় তাস খেলছিলেন। কিছুক্ষণ পর কোটালীপাড়া থানা পুলিশের এএসআই শামিম ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খেলার দৃশ্য ভিডিও করেন।
এরমধ্যে কোনো এক সময় নিখিলসহ অন্যারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। ৩/৪ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও নিখিল ধরা পড়ে যায় পুলিশের কাছে। এসময় পুলিশের এএসআই মো. শামীম হাসান নিখিলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত নিখিলকে প্রথমে বরিশাল ও পরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তির পর ৩ জুন বুধবার মারা যায়।
এ ঘটনায় পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়ায় ঘটনার প্রকৃত কারণ খুজতে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার পদোন্নতি মো. আসলাম খাঁন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ম. ছানোয়ার হোসেনসহ ৩ সদস্যর একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত টিমের তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগেই রোববার রাতে নিহত নিখিলের ভাই মন্টু তালুকদার বাদী হয়ে মো. শামীম হাসানসহ ২ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা করে।
অপরদিকে পুলিশের পক্ষ হতে বলা হয়েছে, গত ২ জুন মঙ্গলবার জুয়া খেলার গোপন সংবাদ পেয়ে কোটালীপাড়া থানা পুলিশের এএসআই শামিম ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জুয়া খেলার দৃশ্য ভিডিও করেন। কোন এক সময় নিখিলসহ অন্যারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। ৩/৪ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও নিখিল একটি গাছের সাথে থাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে আহত হয়।
আহত নিখিলকে প্রথমে কোটালীপাড়া ও পরে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তির পর বুধবার সন্ধ্যার আগে সে মারা যায়। নিখিল তালুকদার (৩৬) রামশীল গ্রামের নিশিকান্ত তালুকদারের ছেলে।