নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্য চেয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়।
মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম অভিযোগ তদন্তে কিছু তথ্য চেয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিস্টারের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠান।
সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট নার্সিং কলেজের সহকারী অধ্যাপক সোনালী রানী দাস, মো. সিদ্দিকুর রহমানের দুটি অভিযোগ এবং গাজীপুরের সোয়াইব মৃধার দুদকে দায়ের করা অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য ২৬ ডিসেম্বররের মধ্যে এসব তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
চিঠিতে ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদা আক্তার কোন কোন মামলায় কোন তারিখ থেকে কোন তারিখ পর্যন্ত কারাগারে ছিলেন তার তথ্য চাওয়া হয়েছে। রাশিদা আক্তারের নিয়োগ সংক্রান্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি যে সকল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিলো সেই সব পত্রিকার একটি করে কপি চাওয়া হয়েছে। রাশিদা আক্তারের নিয়োগের আগে বা পরে কোনে ধরনের প্রাক পরিচয় যাচাই বা পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়ে থাকলে তার তথ্যও চাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৫সেপ্টেম্বর রাশিদা আক্তারের বিরুদ্ধে খুলনা জেলার পাইকগাছা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা (নং -২৯) করা হয়। একই বছর পহেলা ডিসেম্বরে মাসে আবারো একই অভিযোগের ভিত্তিতে খুলনা সদর থানায় তাকে আসামি করে মামলা ( নং- ২) করা হয়।
এরপর ২০১৩ সালে ৩ ফেব্রুয়ারি খুলনা জেলার পাইকগাছা থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা (নং – ৫) করা হয়। একই বছরে ২ মার্চ একই আইনে পুনরায় রাশিদা আক্তারকে আসামি করে খুলনার রূপসা থানায় মামলা ( নং – ৫) করা হয়।