জিউস ও লেডার কন্যা এবং স্পার্টার রাজা মেনিলাউসের স্ত্রী ছিলেন হেলেন। ট্রয়ের রাজপুত্র যাকে নিয়ে স্পার্টা থেকে পালিয়ে আসে। যার ফলশ্রুতিতে যুদ্ধ বাধে, ধ্বংস হয় ট্রয় নগর। হেলেন মূলত বিশ্বময় ‘ট্রয়ের হেলেন’ হিসেবে পরিচিত। এই নামটির সাথে পরিচয় নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। আসছে নারী দিবসে চ্যানেল আইয়ের পর্দায় আসছে ‘আমাদের হেলেন’ নামের একটি টেলিফিল্ম। যদিও ‘আমাদের হেলেন’ এ উঠে এসেছে সমকালীন একজন সাধারণ নারীর ব্যক্তিগত স্ট্রাগল আর সংকটের কথা।
নারী দিবসকে সামনে রেখে ‘আমাদের হেলেন’ টেলিফিল্মটি নির্মাণ করেছেন সময়ের মেধাবী নাট্য নির্মাতা প্রীতি দত্ত। টেলিফিল্মটি নিয়ে বেশ আশাবাদী এই নির্মাতা। জানান, একজন নারীর এই সময়ের ক্রাইসিস ও স্ট্রাগলের গল্পই তিনি তুলে ধরেছেন ‘আমাদের হেলেন’ এ। অন্যভাবে বললে, অ্যাবরশনকে নিরুৎসাহিত করতেই এমন একটি গল্প বলা।
টেলিফিল্মটির গল্প সংক্ষেপ জানতে চাইলে প্রীতি বলেন, মডেলিংয়ের নেশায় ঢাকায় আসে একজন তরুণী। যার নাম হেলেন। ঘটনাচক্রে পরিচয় এবং পরবর্তীতে সম্পর্ক তৈরী হয় ম্যাক (মাকসুদ) নামের এক তরুণের সাথে। বিয়েও হয় তাদের। স্বভাবতই প্রেগন্যান্ট হয় হেলেন। কিন্তু তারা তখনও ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠায় মগ্ন। বিশেষ করে মাকসুদ। সে চায় না আনেক্সপেক্টেড বাচ্চা হোক তাদের। অ্যাবরশন করতে বলে হেলেনকে। কিন্তু হেলেন এটা করতে চায় না। বাদানুবাদ বাদে হেলেন ও ম্যাকের মধ্যে। নাছোড়বান্দা হেলেন। এমন পরিস্থিতিতে বাসা ছেড়ে চলে যায় ম্যাক। এদিকে অনাগত সন্তানের ভবিষ্যৎ আর বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখে হেলেন।
নিজের মধ্যে ধারণ করা অনাগত সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে বদ্ধপরিকর হেলেনের এই সময়ের ক্রাইসিস ও স্ট্রাগলের এমনই এক গল্পের টেলিফিল্ম নিয়ে হাজির প্রীতি দত্ত। গ্রিক পুরাণের হেলেন নয়, একেবারে দেশের সাদামাটা হেলেনের চরিত্রে দেখা যাবে ছোট ও বড় পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিশাকে।
৮ মার্চ নারী দিবসে দুপুর ৩টা ৫মিনিটে দেখানো হবে প্রীতি দত্তের রচনা ও পরিচালনায় টেলিফিল্মটি। যেখানে কেন্দ্রীয় হেলেনের চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা ছাড়াও অভিনয় করেছেন শিপন মিত্র, মিলি বাশার, শরমিশঠা, সিনথিয়া ইয়াসমিন, মুনতাহা, নিকুল কুমার মণ্ডল প্রমুখ। টেলিফিল্মটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন বিশ্বজিৎ দত্ত।