নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের ঘটনায় দায়ের করা দুইটি মামলার একটির বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পালকে দ্বিতীয় দিনের মতো জেরা করা হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আজ সোমবার তার অসমাপ্ত জেরা সম্পন্ন করা হয়েছে।
মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২৩ আসামীকে সোমবার সকাল ১০টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে হাজির করা হয়। সাড়ে ১০টায় বাদীকে জেরা শুরু হয়।
এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ডা. বিজয় কুমার পাল আদালতে সাক্ষ্য প্রদানের পর আসামীপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। তবে নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা তারেক সাঈদ এবং এম এম রানার পক্ষের আইনজীবীরা জেরার জন্য সময়ের আবেদন করলে আদালত ৭ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করেন।
গত ৩ মার্চ নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটির দায়ের করা অন্য একটি মামলায় বিউটির স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও তাকে জেরা করা হয়।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুরে আদালতে মামলার হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তার তিন বন্ধু তাজুল ইসলাম, লিটন, মনিরুজ্জামান স্বপন ও গাড়ির জাহাঙ্গীর চালক এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ি চালক ইব্রাহিমকে অপহরণের পর হত্যা করে শীতলক্ষা নদীতে মৃতদেহ ফেলে দেয়। এর তিনদিন পর ওই সাত জনের দেহ উদ্ধার হয়।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারী ৭ খুনের দু’টি মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২৩ আসামীর উপস্থিতিতে আদালত অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারণ করেন ২৫ ফেব্রুয়ারি। তবে র্যাবের ৮ সদস্যসহ পলাতক ১২ আসামীর অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্য শুরু হয়।
পলাতক ১২ আসামীর পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের খরচে ৫ আইনজীবীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর আগে গত বছরের ৮ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।