দুই দশক পর ইন্ডিয়ান ওয়েলসে ঝলক দেখালেন যুক্তরাষ্ট্রের টেনিস তারকা টেলর ফ্রিটজে। স্প্যানিশ কিংবদন্তি রাফায়েল নাদালের বিপক্ষে ৬-৩ ও ৭-৬ সেটে জয় তুলে প্রথম বারের মতো ইন্ডিয়ান ওয়েলস মাস্টার্স শিরোপার স্বাদ নিয়েছেন ২৪ বর্ষী টেনিস তারকা।
শনিবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে গোড়ালিতে চোটে পড়ার পর অভিজ্ঞ নাদালের বিপক্ষে কোর্টে নামার আগে দ্বিধায় ছিলেন ফ্রিটজে। তবে চোট নিয়েও কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কোর্টে নেমে ইতিহাস গড়েন এ তরকা। আন্দ্রে আগাসির দুই দশক পর ফের শিরোপার স্বাদ পায় যুক্তরাষ্ট্র।
প্রথম সেটে রেকর্ড ২১ বারের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ীর বিপক্ষে নিজেকে উজাড় করে দিতে এতো টুকুও কার্পণ্য ছিল না মার্কিনীর। গোড়ালির চোটকে পাত্তা না দিয়ে নিজের সব টুকো নিংড়ে দিয়ে বাজি মাত করেন ফ্রিটজে। প্রথম সেটে নাদালকে হারান ৬-৩ ব্যবধানে।
তবে দ্বিতীয় সেটে অভিজ্ঞ ৩৫ বর্ষী টেনিস তারকার বিপক্ষে জয় তুলতে ঘাম জরাতে হয়েছে ফ্রিটজের। সমতা বিরাজ করা সেটে টাইব্রেকে ব্যবধান গড়ে ৭-৬-এ এগিয়ে প্রথম বারের মতো উল্লাসের উপলক্ষ পান ২৪ বর্ষী তরুণ।
ম্যাচ শেষে ফ্রিটজে বলেন, আমি খেলতে পেরেছি এটা যে কতটা হাস্যকর তা বর্ণনা করে বুঝাতে পারব না। জীবনে কখনও ম্যাচের আগে এর চেয়ে খারাপ ব্যথা অনুভব করিনি। আমি কোর্টে না নামার ব্যাপারেও কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছিলাম ও চিৎকার করেছিলাম। তবে ম্যাচের আগে অনেক কাজ করেছি। ম্যাচের আগে আবেগের রোলারকোস্টারের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আজকে আমি খেলতে পারব না। ম্যাচে জয় পেয়ে আমি ভীষণ খুশি।
সদ্য অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শিরোপা জয়ী তারকা কোর্টে তরুণের কাছে হেরে বসবে বিশ্বাস করেনি নাদাল ভক্তরা। নাদাল নিজেও তা মানতে পারছে না কোনো ভাবেই। ম্যাচ শেষে জানান সেমিফাইনালে বুকের সমস্যায় পড়ার কথা।
‘যখন আমি নিশ্বাস নেই, যখন আমি নড়াচড়া করি, তখন একটা ব্যথা সারাক্ষণ ভেতরে সুইয়ের মতো ফুটে ওঠে। যা খুব বেদনাদায়ক। কেবল ব্যথার বিষয়ে নয়, আমি কোর্টে খুব ভাল অনুভব করিনি। কারণ এটি আমার শ্বাস-প্রশ্বাসকে প্রভাবিত করে। এটি ম্যাচ পরাজয়ের দুঃখের চেয়েও বেশি। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই আমি হার মেনে নিয়েছিলাম। তবে হার কিছুটা কষ্ট দিবেই আর এটাই সত্যি।