বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সভাকক্ষ। জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হলো নাট্যকারদের বর্ষপূর্তি মিলনমেলা। এরপর পরিচয় পর্ব। একে একে টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের প্রায় শতাধিক সদস্য দিলেন পরিচয়। এরপর বললেন তাদের নাট্যকার হওয়ার গল্প। বৃন্দাবন দাস জানালেন পাবনার আজো পাড়াগাঁ থেকে ফুটবলার হওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা আসার কথা। ফুটবলার না হয়ে কিভাবে নাট্যকার হয়ে গেলেন সেই গল্প সবাইকে বিস্মিত করেছে। জুগিয়েছে অনুপ্রেরণা। দিয়েছে আনন্দ। চা পানের বিরতি দিয়ে শুরু হয় সংগঠন এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে পরিকল্পনা। নাট্যকাররা দিচ্ছিলেন স্বাধীন মত।
মেসবাহউদ্দিন সুমন বললেন, ‘নাটকের মান বৃদ্ধিতে নাট্যকারদের জন্য কর্মশালা আয়োজনের বিকল্প নেই। নাট্যকারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ভুল ত্রুটি দূর করে নাটককে সাধারণ মানুষের আশ্রয়ে রূপান্তর করতে হবে।’ নাট্যকার শফিকুর রহমান শান্তনু বলেন, ‘নাটক তখনোই সবার অন্তরে গাঁথবে যখন তা গণমানুষের মনের কথা হবে। আর গণমানুষের মনের কথা হতে হলে নাট্যকারদের মানুষের মনের ভাব বুঝতে হবে। এজন্য প্রয়োজন মনোবিজ্ঞানীর নিকট থেকে শিক্ষা। প্রয়োজন কর্মশালা।’ তিনি নাট্যকারদের মনোবিজ্ঞানীর পাশাপাশি আইনবিদদের কাছে শিক্ষার উপর জোর দেওয়ার দাবি জানান। এতে করে আইনের ধারাগুলো সঠিকভাবে নাটকে আনা যাবে বলে মনে করেন। এসময় বৃন্দাবন দাস বলেন, ‘শুধু মনোবিজ্ঞানী বা আইনবিদ নয়, চিকিৎসকদের সঙ্গেও নাট্যকারদের বসতে হবে। তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিষয়গুলো নির্ভুলভাবে ফুটিয়ে তোলা যাবে।’
এসময় হাজির হন টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন ও ক্যামেরাম্যান অ্যাসোসিয়েশন এর নেতৃবৃন্দ। তারা টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের কার্যনির্বাহী কমিটিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। টিভি নাটকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবগুলো সংগঠন ও টেলিভিশন মালিকদের সঙ্গে মিলিত হয়ে এককভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
গতকাল রোববার (২ এপ্রিল) ছিল টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের বর্ষপূর্তি। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে আয়োজন করা হয় নাট্যকারদের এই মিলনমেলা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বৃন্দাবন দাশ। সঞ্চালনা করেন টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন সুমন। অতিথিরা আয়োজনের শেষ মুহূর্তে কেক কেটে বর্ষপূর্তি উৎযাপন করেন। র্যাফেল ড্র ও আপ্পায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানা হয়।