নাটোরে ধানের ফলন ভালো হলেও দাম না পাওয়ায় উৎপাদন খরচ তুলতে পারছেন না কৃষক। এখন আগাম জাতের বোরো ধান কাটা চলছে। শ্রমিক সংকটের কারণে ধান ঘরে তুলতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কৃষককে।
নাটোরে বিআর ২৬, ২৮ মিনিকেট, পাড়ি ও পাইজামজাতের ধান কাটা চলছে। কৃষক ব্যস্ত কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে। বাজারে ধানের দাম না পাওয়ায় মাথায় হাত কৃষকের। কিছুদিন আগে ঝড়ের কারণে পাকা ও আধাপাকা ধান ঝরে পড়ে গেছে। এতেও চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষক।
তারা বলেন, ধান পড়ে যাওয়ার কারণে ফলন কম হচ্ছে। যার কারণে উৎপাদনে পোষাচ্ছে না তাদের।
বাজারে প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে পাঁচশ’ থেকে ছয়শ’ টাকায়। এক বিঘা জমিতে ধান আবাদে কৃষকের খরচ আট হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। সেইসাথে শ্রমিক সংকটে মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে কৃষকের।
কৃষকরা বলেন, এক বিঘা জমিতে খরচ হচ্ছে ১০ হাজার টাকা। কিন্তু আমরা দাম পাচ্ছি মণ প্রতি মাত্র ৫-৬শ টাকা। একটা কাজের লোকের দাম ৫শ টাকা দাম। সব মিলিয়ে আমরা মার খাচ্ছি।
চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ৫৬ হাজার চারশ’ ১৫ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় ফলনও পাওয়া গেছে ভালো।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আলহাজ উদ্দিন বলেন, ধানের দাম প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কম। সরকার যদি ধানের দামটা সমন্বয় করে তাহলে কৃষকরা ধান উৎপাদনের উৎসাহী হবে।