চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

নাটোরে ধান কাটা শুরু হলেও হাসি নেই কৃষকের

নাটোরে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ের কারনে ধানের ফলন কিছুটা কমে গেছে। আগাম জাতের বোরো ধান পাইজাম, পারিজা, বিআর-২৮, ২৬  মিনিকেট ও হাইব্রিড জাতের ধানে ফলন কম হওয়ায় হাসি নেই কৃষকের মুখে। সেই সাথে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশ কৃষক।

শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ধানের ফলন কম হয়েছে। বৃষ্টির ফলে জমিতে কাদা জমে আর পাকা ধান ঝরে পড়ে, এই ধান ঝরার কারনে ধানের ফলন কমে যাচ্ছে যার কারনে ধানের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

নাটোরের এক কৃষক বলেন, ধানের গাছের সাথে ধান পড়ে যাওয়ার কারনে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

শ্রমিক সংকট ও প্রকৃতিক দূর্যোগের ধান কাটা দেরি হওয়ায় আরেক দফা উৎপাদন খরচ বাড়ছে। সেই সাথে বাজারে দাম কম। এ কারনে কৃষকরা ভাল নেই।

নাটোরের আর এক কৃষক বলেন, যে ধান পাবো বর্তমান বাজারে তা বিক্রি করলে আমাদের পোষাবে না। এই ধান যদি ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি করতে পারতাম তবে আমাদের লাভ হত।

নাটোরে এবার ৫৭ হাজার চারশ ৯২ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধান আবাদ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের তাড়াতাড়ি ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছে। এমনকি যাদের ধান একটু কাচাও আছে তারা যেন তাড়াতাড়ি ধান কেটে নেয়।

নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড.আলহাজ উদ্দিন আহমেদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, অতি সম্প্রতি নাটোরে ঝড় এবং শিলা বৃষ্টির কারনে বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এজন্য আমরা কৃষকদের যাদের ধান ৮০ ভাগ পেকেছে তাদের ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছি।

তবে সাধারন কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য চায়, তাদের দাবি সরকার যেন উদ্যোগী হয় ধানের দাম বাড়াতে।