সিলেট থেকে: উদযাপন নিয়ে বেশ দ্বিধা-দ্বন্দ্বে নাজমুল ইসলাম অপু। বিপিএল দিয়ে নাগিন নাচের যে নিজস্ব স্টাইল তৈরি করেছিলেন, সেটি এখন করতে হয় ২২ গজের বাইরেও। উল্লাস করার উপলক্ষ তৈরি হলেই বন্ধু-সতীর্থরা চিমটি কেটে ইশারা দেন নেচে উঠতে। সবার মন রক্ষা করতে কয়েক মুহূর্তের জন্য নাগিন হয়ে ওঠেন অপু।
টি-টুয়েন্টি, ওয়ানডের পথ পেরিয়ে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্টে অভিষেকের অপেক্ষায় অপু। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শনিবার শুরু হতে যাওয়া ম্যাচেই সাদা পোশাকের স্বপ্নপূরণ হতে পারে এ বাঁহাতি স্পিনারের। তাতে উইকেট পেলে সাদা পোশাকেও সর্পরূপে উদযাপন করবেন?
প্রশ্ন শুনে খানিকসময় ভাবনার রাজ্যে ঘুরে আসেন অপু। পরে বললেন, ‘জানি না, করবো কিনা। ওভাবে ভাবিনি। সবাই করতে বলে, মজা পায় তাই করি।’
রাজশাহী কিংসের অনুশীলনে অধিনায়ক ড্যারেন স্যামিকে সাপের নাচ নেচে ভয় দেখাতেন অপু। ম্যাচে একদিন করার পর জনপ্রিয়তা পায় উদযাপনটি। সেই থেকেই চলছে। লাল-সবুজ জার্সিতেও উইকেট পেলে সাপের মতো ফণা তোলেন অপু। নাগিন নাচে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছেন যে উদযাপনে শুরুর স্টাইলটি কেমন ছিল সেটিও মনে করতে পারছিলেন না ২৬ বছর বয়সী ঢাকার এ ক্রিকেটার!
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুশীলনে এদিন এক ব্যাটসম্যানকে আউট করে নাগিনরূপে উদযাপন করেন অপু। মাঠে থাকা সাবেক এক ক্রিকেটার তখন আক্ষেপ করেই বলছিলেন, উদযাপনের এমন ঢং তো আমাদের সংস্কৃতি নয়!
টিভি স্ক্রিনে যারা দেখেন অপুর উদযাপন, তারা সবাই যে উপভোগ করেন এমনটিও নয়। ফেসবুকে অনেকেই লিখছেন নাগিন নাচ থামানো উচিত অপুর। বিষয়টি নজরে এসেছে এ জাতীয় দল তারকারও। কিন্তু এটির মাধ্যমে যখন দল অনুপ্রেরণা পায় তখন আর কী-ইবা করার থাকে!
‘উদযাপনের স্টাইল অনেক সময় নিজের মাঝে শক্তি যোগায়। আক্রমণাত্মক উদযাপনে দলের অনেকেই উদ্দীপ্ত হয়। ম্যাচে তার প্রভাবও থাকে।’ বলেন অপু।