নববর্ষের রাতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রেইনা নাইট ক্লাবের হামলাকারীকে ধরতে সর্বাত্মক অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইস্তাম্বুলসহ বিভিন্ন স্থানে সর্বাত্মক অভিযান চালাচ্ছেন তারা।
সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এ অভিযান চলছে। ফুটেজে দেখা গেছে, হামলাকারী নাইট ক্লাবের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময়ই বন্দুক উঁচিয়ে রেখেছিল। তার গুলির প্রথম শিকার হন নাইট ক্লাবের দরজায় দাঁড়ানো নিরাপত্তাকর্মী ফাতিহ কাকমাক।
অজ্ঞাত ওই হামলাকারী নাইট ক্লাবটিতে হামলা চালানোর পর সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
বিবিসি জানিয়েছে, রোববারের ওই হামলার উদ্দেশ্য নিশ্চিত না হলেও হামলায় জঙ্গি সংগঠন আইএস জড়িত বলে সন্দেহ করছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম। ২০১৬-তে তুরস্কে হওয়া সন্ত্রাসী হামলাগুলোর অন্তত দু’টোতে দলটির হাত ছিল বলে প্রমাণ পেয়েছে তুর্কি সরকার।
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, এই দলগুলো “বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য” কাজগুলো করছে। তিনি বলেন, “তারা আমাদের জনগণকে নীতিবোধ থেকে সরিয়ে আনতে চায় এবং আমাদের দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।”
রেইনা নাইট ক্লাব তুর্কিদের পাশাপাশি বিদেশিদের কাছেও যথেষ্ট জনপ্রিয় হওয়ায় নববর্ষের রাতের উৎসবমুখর সময়কে বেছে নিয়েছিল হামলাকারী। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, হামলায় নিহত ৩৯ জনের মধ্যে কমপক্ষে ১৫ জনই বিদেশি নাগরিক। এদের মধ্যে ছিলেন ইসরাইল, তিউনিশিয়া, ফ্রান্স, লেবানন, ভারত, বেলজিয়াম, জর্ডান ও সৌদি আরবের নাগরিক।
পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে হামলায় আহত ৬৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর।
তুরস্কে নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এই হামলার দায় থেকে নিজেকে দূরে রেখেছে। দলের পক্ষ থেকে মুরাট কারায়িলান বলেছেন, তারা “কখনোই নিরীহ জনগণকে লক্ষ্যবস্তু বানাবেন না”।
হামলাকারী বন্দুকধারীকে খুঁজে বের করার অভিযান চলমান অবস্থায়ই নাইট ক্লাবে নিহতদের প্রথম দফায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।