চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

নর্থ কোরিয়ায় বড় ধরণের ভূমিকম্প, পারমাণবিক পরীক্ষার আশঙ্কা

নর্থ কোরিয়া ও এর আশপাশের অঞ্চলে বেশ বড় ধরণের ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দেশটি তার ষষ্ঠ পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর ফলেই এই ভূমিকম্প।

মার্কিন ভূকম্পন বিশেষজ্ঞরা জানান, নর্থ কোরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৬.৩ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে। বড় ধরণের কোনো বিস্ফোরণের কারণে ভূমিকম্পটি হয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা।

উৎপত্তিস্থলের কাছেই রয়েছে নর্থের পুঙ্গিরি পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র। কিলজু অঞ্চলের সেই পরীক্ষা কেন্দ্রেই নর্থ কোরিয়া আগের সবগুলো পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, কম্পনের উৎপত্তিস্থল ভূপৃষ্ঠের ওপর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার গভীরে। অন্যদিকে সাউথ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলছে, কম্পনের ধরণে মনে হয়েছে সেটি মানবসৃষ্ট। তাই তারা আশঙ্কা করছে নর্থ কোরিয়া আরেকটি পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।

ভূমিকম্পের সাথে সাথেই সাউথ কোরিয়া জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডেকেছে।

প্রথম ভূমিকম্পের পরই ৪.৬ মাত্রার আরেকটি কম্পনের দাবি করেছে চীনের ভূমিকম্প বিষয়ক প্রশাসন। প্রথম কম্পনকে ‘সম্ভাব্য বিস্ফোরণ’ উল্লেখ করে দ্বিতীয়টিকে বিস্ফোরণ পরবর্তী বড় ‘ধস’ বলে বর্ণনা করেছে তারা।

এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই অবশ্য নর্থ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ নতুন ধরণের একটি হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষারত অবস্থায় প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের কিছু ছবি প্রকাশ করে। সংস্থাটি বলেছে, কিম পিয়ংইয়াংয়ের পারমাণবিক অস্ত্র ইনস্টিটিউটে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং তাদেরকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বিষয়ক কাজে কিছু দিকনির্দেশনা দিয়ে এসেছেন।নর্থ কোরিয়া

কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইনস্টিটিউটটি সম্প্রতি আরও উন্নত পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে সফল হয়েছে। তিনি (কিম জং উন) একটি হাইড্রোজেন বোমা নতুন একটি আইসিবিএম-এর (আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল) ভেতর বসানো পর্যবেক্ষণ করেন।’

প্রতিবেদনটিতে বোমাটিকে ‘ব্যাপক ধ্বংসাত্মক ক্ষমতাযুক্ত নানাবিধ কার্যকারিতাসম্পন্ন থার্মোনিউক্লিয়ার বোমা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা অনেক বেশি উচ্চতা থেকেও বিস্ফোরিত করা যাবে।

তবে অন্য কোনো মাধ্যম বা সূত্রের সাহায্যে নর্থ কোরিয়ার এ দাবি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মিডলবারি ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-এর প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ মেলিসা হ্যানহ্যাম বলেছেন, শুধু ছবি দেখে নর্থ কোরিয়ার দাবির সত্যমিথ্যা যাচাই করা সম্ভব নয়।