চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

নরসিংদী ও মুন্সীগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নিহত ৩

ইউপি নির্বাচন

নরসিংদী ও মুন্সীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে নরসিংদীতে ২ জন এবং মুন্সীগঞ্জে একজন নিহত হয়েছেন।

নরসিংদীর রায়পুরার চান্দেরকান্দি ও উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জন নিহত হয়েছেন। উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের চান্দেরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতদের একজন সিএনজি চালক আরিফ মিয়া (২৪), আরেকজনের নাম ফরিদ মিয়া (৩২)।

স্থানীয়রা জানান, উত্তর বাখরনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গণনার সময় ভোট কমবেশি পাওয়া নিয়ে ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সোহাগ মিয়া ও পন্ডিত মেম্বারের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় ফরিদ মিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসক। হাসপাতালে নেয়ার পর রাতে তার মৃত্যু হয়।

রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রায়পুরার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের সহিংসতাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সিএনজি চালক আরিফ মিয়াকে উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এসময় দুই পুলিশ সদস্যসহ আরও ১২ জন আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে মুন্সীগঞ্জের বাংলাবাজার ইউনিয়নের বানিয়াল কাজিয়ার চর ভোট কেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ১ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন অন্তত আরও ১০ জন।

নিহত সাকিল মোল্লা সংরক্ষিত আসনের বিজয়ী মেম্বার রাবেয়া বেগমের ভাগিনা। তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

জানা যায়, নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হেরে যাওয়া প্রার্থী আরফা বেগমের লোকজন হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক ফরিদুজ্জামান বলেন: ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা সংরক্ষিত আসনের বিজয়ী মেম্বার রাবেয়া বেগম (কলম প্রতীক) এর ভাগিনাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাকে মৃত অবস্থায় জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত আটক করা সম্ভব হয়নি।