জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নদী খনন ও বনায়নের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণে বর্জ্য পরিশোধনাগার বাড়ানো এবং বুড়িগঙ্গাসহ কয়েকটি নদীকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে সংরক্ষণের প্রস্তাবও করা হয়েছে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব মোকাবেলায় প্রস্তাবিত বাজেটে ২০৩০ সালের মধ্যে নিজস্ব সক্ষমতায় ৫ শতাংশ এবং আন্তর্জাতিক সহায়তায় ১৫ শতাংশ কার্বন নি:সরণ হ্রাসে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়াও ইটভাটায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বল্প কার্বন নি:সরণের প্রযুক্তি আনা হবে।
নাব্যতা বাড়াতে ২০২১ সালের মধ্যে ৪৭০ কিলোমিটার নদী খনন এবং ২ হাজার ৫৫ কিলোমিটার খাল খনন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আছে বন্যা, লবণাক্ততা ও জরাবদ্ধতা দূর করতে ২৪০ কিলোমিটার বাঁধসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনাও।
বর্জ্য শোধনে জিরো ডিসচার্জ পরিকল্পনা ছাড়াও বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু, তুরাগ ও হালদা নদী ও এর উপকূলবর্তী এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা, ইসিএ হিসেবে ঘোষণা করে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়ার কথাও বলেছে প্রস্তাবিত বাজেটে।
২০২১ সালের মধ্যে ৫১২ কিলোমিটার সমুদ্র উপকূলে ২৮ হাজার ৫৬০ হেক্টর ম্যানগ্রোভ বনায়ন সৃষ্টির পরিকল্পনা রাখা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো বিশেষ করে পরিবেশ ও বন, পানি সম্পদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।