বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যাপক সমালোচনা আর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তার ‘ট্রাম্প সংস্থা’ থেকে সোমবার (স্থানীয় সময়) পদত্যাগ করেছেন।
সংস্থাটির দায়িত্ব ন্যাস্ত হয়েছে তার দুই পু্ত্র ডোনাল্ড জুনিয়র এবং এরিকের হাতে। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সিন স্পাইসার এ তথ্য জানান।
প্রথম স্ত্রী ইভানা ট্রাম্পের ঘরে এই দুই ছেলের জন্ম। সোমবার এই দুই ভাই তাদের হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করে লেখেন, “ট্রাম্প অর্গানাইজেশনে নতুন যুগের শুরু।”
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগের কথানুযায়ী ট্রাম্প পদত্যাগ করেছেন উল্লেখ করে সিন বলেন, ডন ও এরিক এখন কোম্পানির পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রক।
তবে ট্রাম্পের এই ‘অপর্যাপ্ত’ পদক্ষেপেও সমালোচকরা খুশী নন। এর সাথে স্বার্থগত সংঘাতেরও নিরসন দেখছেন না তারা। বরং ট্রাম্পের সমস্ত সম্পত্তি তারল্যে পরিণত করার পক্ষে তারা, যেগুলো ব্লাইন্ড ট্রাস্টে পরিণত করা হবে। (যেক্ষেত্রে ট্রাস্টের সুবিধাভোগীরা এর ব্যাপারে সচেতন থাকে না এবং পরিচালনায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না)
এমন করতে আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকলেও প্রেসিডেন্টদের জন্য এমনটি রীতি হয়ে গেছে। এর আগেও প্রেসিডেন্টরা তাদের সকল সম্পত্তি থেকে নিজেদের আলাদা করে নিয়েছিলেন, যাতে কোন জাতীয় নীতির সাথে স্বার্থের সংঘাত না হয়।
সোমবারই ওয়াশিংটনে সচেতনতা এবং নীতিবিষয়ক নাগরিক সংগঠন (ক্রিউ) ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান ভঙ্গের অভিযোগ আনেন। তাদের অভিযোগ, ট্রাম্প ব্যবসায়িক স্বার্থ থেকে সরে আসেনি বা ডিসির পুরাতন পোস্ট অফিস বিল্ডিংয়ের হোটেলটি থেকেও নিজেকে বিযুক্ত করেননি।
এদিন সকালে নিউইয়র্কের এক জেলায় এই অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করে ক্রিউ। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ভবনটি লিজ নিয়ে হোটেল গড়ে তুলেছিলেন ট্রাম্প। এই লিজের শর্তানুযায়ী কোন নির্বাচিত ব্যক্তি এর সম্পত্তি থেকে লাভবান হতে পারেন না।
ক্রিউয়ের অভিযোগ, দেশের স্বার্থগত বিষয়ে আলোচনার জন্য এই হোটেলে যখন বিদেশী অতিথিদের আনা হবে, তখন ট্রাম্পের স্বার্থও এসে পড়তে পারে।
তবে ট্রাম্পের আইনজীবী শেরি ডিলন সম্প্রতি প্রেসিডেন্টের স্বার্থগত সংঘাতের বিষয়টিকে উড়িয়ে দেন। ট্রাম্প পুত্র এরিকও একে ‘খুবই দুঃখজনক’ অভিহিত করে ‘শুধু মাত্র রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলা’ বলে মন্তব্য করেন।