বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা নতুন এক ধরণের ড্রেসিং পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যা ক্ষত স্থানে ইনফেকশন সনাক্ত করতে পারলে নিজেই থেকেই ড্রেসিং’র রং পরিবর্তন করে ফেলে। এর মাধ্যমে চিকিৎসকরা এখন থেকে খুব সহজেই ক্ষত স্থানে ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা হওয়া ইনফেকশন সনাক্ত ও দ্রুত এর চিকিৎসা করতে পারবেন। বিশেষ করে আগুনে পোড়া রোগীদের জন্য এটি অনেক উপকারি হবে। কারণ ইনফেকশনের জন্য অহেতুক আর অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হবেনা।
নতুন এই ড্রেসিং পদ্ধতিতে এর ভিতরে থাকা ছোট ছোট ক্যাপসুল থেকে ফ্লোরোসেন্ট বের হয়। যা ক্ষত স্থানে ব্যাক্টেরিয়া থেকে নিঃসৃত বিষকে ধ্বংস করে ফেলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োফিজিক্যাল বিষয়ের প্রফেসর ও গবেষণাটির প্রধান গবেষক টবি জেনকিনস’র মতে, নতুন এই ড্রেসিং পদ্ধতি অনেক মানুষের জীবন বাঁচাতে পারবে।
ড্রেসিং খোলার আগে ক্ষত স্থানে কোনো ইনফেকশন হয়েছে কিনা তা সনাক্ত করা চিকিৎসকদের জন্য অনেকটা কষ্টসাধ্য। বিশেষ করে শিশুদের অপরিপক্ক হজম প্রক্রিয়ার জন্য তাদের আগুনে পোড়া ক্ষত স্থানে কোনো ইনফেকশন হয়েছে কিনা তা বোঝা খুব কঠিন। যদি ইনফেকশন হয়, তাহলে ধীরে ধীরে ক্ষত স্থানে ওই ইনফেকশন বাড়তে থাকে। যার ফলে রোগীকে দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকতে হতে পারে। অনেক সময় ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়ে রোগী মারাও যায়। তাই বেশির ভাগ সময়ে চিকিৎসকরা ইনফেকশন সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার আগেই বিভিন্ন ধরণের শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকেন। যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কোনো ইনফেকশন না থাকলে, ওই শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা চিরতরে নষ্ট করে দেয়। তখন প্রয়োজনের সময় রোগ সারাতে কোনো ওষুধই শরীরে কাজ করেনা।