দীর্ঘ এক মাস ধরে চলা ক্রিকেটার বনাম বোর্ডের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটেছে। উড়েছে শান্তির পতাকা। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া দুপক্ষই দ্বন্দ্বের শেষে নিজেদের জয়ী ভাবছে। তবে স্মিথদের মুখের হাসিটাই বেশি চওড়া। নতুন চুক্তিতে পুরো অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো খেলার খেলোয়াড়দের চেয়েই বেশি বেতন পাবেন এখন দেশটির ক্রিকেটাররা।
যে রাজস্বকে ঘিরে এতদিন চলেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) বনাম ক্রিকেটারদের রশি টানাটানি, সেই রাজস্বের ২৭.৫ শতাংশ এখন থেকে পকেটে ঢুকবে স্মিথ-ওয়ার্নারদের। তবে যাদের জন্য এই একাট্টা আন্দোলন, সেই ঘরোয়া ক্রিকেটাররাও ভাগ পাবেন। যদিও পরিমাণটা স্বল্প তাদের ক্ষেত্রে। আবার তৃণমূলে বেশি অর্থ ব্যয়ের যে পরিকল্পনা ছিল সিএর, সেই সুযোগও থাকছে।
ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের বেতনও বেড়েছে হু-হু করে। ৭৫ লাখ থেকে এক লাফে ল্যানিংদের পারিশ্রমিক হতে যাচ্ছে মোট ৫.৫ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার!
দ্বন্দ্বের অবসানে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসিএ) প্রধান অ্যালেস্টার নিকলসন। তার দাবি, পুরো অস্ট্রেলিয়া জুড়ে যেকোনো খেলার খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পেতে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররাই। এটাই জয়!
তবে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটছে না পুরোপুরি। খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা চলতেই থাকবে। সবমিলিয়ে পুরোপুরি সমাধান হতে সময় লাগবে আরও ২০ থেকে ২৫ দিন, এমনটাই আভাস দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দাবি তৃণমূল ক্রিকেটও লাভবান হবে নতুন চুক্তিতে। সেজন্য প্রশাসনিক খাতে ব্যয় কমিয়ে নতুন ক্রিকেটার তৈরিতে খরচ বাড়াতে আগ্রহী সিএ।
বোর্ডের রাজস্ব আয় যদি ১৬৭ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বেশি হয়, বাড়তি অংশটা থেকে ১৯ শতাংশ পাবেন ক্রিকেটাররা। আর তাদের ভাগের বাকিটা থেকে দেওয়া হবে তৃণমূল ক্রিকেটের তহবিলের জোগান। যেটা আগামী পাঁচ বছরে ২ কোটি ৫০ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
সিএ’র দাবি ছিল দ্বন্দ্বকালীন সময়ে চুক্তিতে না থাকা ক্রিকেটাররা কোন প্রকার পারিশ্রমিক পাবেন না। সবকিছু মিটে যাওয়ায় বেকার বসেও এক মাসের পুরো বেতনটাই পাচ্ছেন স্মিথ-ওয়ার্নাররা।
তবে অস্ট্রেলীয় পত্রিকা দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের দাবি, শান্তি চুক্তির ফলাফল আপাতত মধুর হলেও ভবিষ্যতের জন্য গভীর ক্ষত করে রাখছে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের বুকে। সুদূরে এর প্রভাব টের পাবেন অজি ক্রিকেটাররা। এমন সতর্কবাণী দিয়ে রেখেছে পত্রিকাটির এক প্রতিবেদন।