চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘নজিরবিহীন’ সিদ্ধান্তে আটকে অাছে মঞ্জুর হত্যার বিচার

রায়ের তারিখ ঘোষণার পরও একটি মামলা যে আবার তদন্তে যেতে পারে তার উদাহরণ জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলা।

দুই বছর এক মাস আগে ওই মামলার রায় হওয়ার কথা ছিলো। ওইদিন রায় না দিয়ে নতুন করে যুক্তিতর্ক ও পরবর্তীতে অধিকতর তদন্তের আদেশ হওয়ায় থেমে আছে মামলার কার্যক্রম। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ মামলার অন্যতম আসামী।

১৯৮১ সালের ২৯ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবিদ্রোহে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার দুইদিন পর রহস্যজনকভাবে খুন হন চট্রগ্রাম অঞ্চলের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবুল মনজুর।

ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী চট্রগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় যে মামলা হয় তাতে একমাত্র আসামী করা হয় তখনকার মেজর কাজী এমদাদুল হককে।

তদন্তে আরো যে ৪ জনের নাম আসে তাদের একজন ওই সময়ের সেনাপ্রধান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ১৯৯৯ সালে, যা শেষ হয় ২০১২ সালে এসে।

দীর্ঘ যুক্তিতর্কের পর ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন বিচারক হোসনে আরা। তবে কিছুদিন পরই তিনি বদলি হয়ে যান।

নতুন বিচারক হাসান মাহমুদ ফিরোজ ধার্য তারিখে রায় না দিয়ে মামলায় নতুন করে যুক্তিতর্ক শুরুর আদেশ দেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশও দেন আদালত। সেই তদন্ত এখনো চলছে।

সিআইডি তদন্ত কর্মকর্তা ও বিশেষ এসপি আব্দুল কাহার আকন্দ বলেন, আমি এগুলো তদন্ত করেছি। যেগুলো দেখার সেগুলো দেখেছি। কিছু বিষয় দেখার বাকি আছে, সেগুলো দেখে তদন্তের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করবো।

এর মধ্যেই অবশ্য আবারো বিচারক পরিবর্তন হয়েছে। নতুন বিচারক মো. সাইফুল ইসলাম। অনেকে মামলাটিকে রাজনীতির শিকার বললেও তা মানতে নারাজ রাষ্ট্রপক্ষ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোঃ আসাদুজ্জামান খান বলেন, এটা ভুল ধারণা, মানুষ অনুমান করছে। এই সরকারে সময়ই মামলাটা দ্রুত নিষ্পত্তির দিকে গেছে।

মামলার পরবর্তী তারিখ ২৪ এপ্রিল। ওইদিন অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা। তবে আগে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার এরকম তারিখ পিছিয়েছে ১০ বার।