উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে জমিতে পুড়িয়ে ফেলা দেশের জন্য খুবই অশনি সংকেত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন: এটাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। সরকার এই বিষয়টিকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে এবং অবহেলা করছে।
শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন বলেন: দেশের মানুষ এখন নিরাপদ নয়। আজকে মানুষের মধ্যে কোনো শান্তি নাই। কেনো নাই? কারণ বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। গায়ের জোরে সরকার পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন: দেশের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধানের মূল্য পাচ্ছে না। মূল্য না পাওয়ার কারণের তাদের পাকা ধান জমিতে পুড়িয়ে ফেছে। এটা দেশের জন্য খুবই অশনি সংকেত। কেননা আমাদের দেশ কৃষি নির্ভর। চাল হচ্ছে আমাদের প্রধান খাদ্য। আর সেই দেশের কৃষকরা পাকা ধান পুড়িয়ে দিচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন: বিএনপির আগে যে জনসমর্থন ছিল, সরকারের অত্যাচার নির্যাতনের কারণে এই জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যদি এখন দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করি তাহলে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
বিএনপির সহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুকোমল বড়ুয়া।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক গৌতম চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় নেতা এ.বি.এম আব্দুস সাত্তার, জন গোমেজ, অমলেন্দু বিশ্বাস অপু, কৌন্ডান্য ভিক্ষ্য মৈত্রী, পঙ্কা বংশ ভিক্ষ্য, চাকমা রাজা রাম বিহার রাঙামাঠি, সুশীল বড়ুয়া, সুভাষ চন্দ্র চাকমা ও প্রধান চন্দ্র চাকমা প্রমুখ।