আরও বড় সমস্যার মুখে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের পুলিশ ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কাছে রোনালদোর ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট চেয়েছে। ইতালির পক্ষ থেকে এখনো কিছু না জানানো হলেও লাস ভেগাস পুলিশ বলছে, যে মার্কিন মডেলের সঙ্গে ২০০৯ সালে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন রোনালদো (পরে ওই নারী ধর্ষণের অভিযোগ তোলে), সেই মডেলের আইনজীবীরা পর্তুগিজ তারকার ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট চাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পত্রিকার রোনালদোর ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট চাওয়ার বিষয়টি ফলাও করে ছাপানো হয়েছে। ক্যাথেরিন মায়োর্গা নামের ওই মহিলার আইনজীবী পিটার এস ক্রিস্টিয়ানসেন বলেছেন, ‘লাস ভেগাস পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অনুরোধ ইতালিতে পৌঁছেছে। এবার আমাদের অপেক্ষা করার পালা।’
শুক্রবার তুরিনে জুভেন্টাসের অনুশীলনে নিজের মতো করেই অনুশীলন করেছেন রোনালদো। শনিবার রাতে কোপা ইতালিয়ার ম্যাচে মুখোমুখি হবে জুভেন্টা-বোলোনিয়া। সেই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে রোনালদোর ডিএনএ টেস্ট নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন দলের কোচ মার্সিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি। তিনি বলেন, ‘এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি শুধু ফুটবল নিয়ে কথা বলব। রোনালদো অনুশীলনে করেছে এবং মৌসুমের বাকি সবগুলো ম্যাচই তিনি খেলতে চান।’
লাস ভেগাস পুলিশের অনুরোধ ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় শেষ পর্যন্ত রাখবে কিনা সেটা অবশ্য এখনো জানা যায়নি। অনুরোধ রাখতে হলে ইতালিতেই রোনালদোর ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। পরে সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেয়া হবে লাস ভেগাসে।
যেহেতু রোনালদো পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন, তাই ডিএনএ পরীক্ষা করা ছাড়া কোনও গতি নেই লাস ভেগাস পুলিশের। কারণ ৯ বছর আগের ঘটনায় তেমন কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই।
রোনালদোর সামনে বড় সমস্যা, ঘটনা চেপে যাওয়ার জন্য ২০১০ সালে মহিলাকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রমাণ প্রকাশ্যে আনতে চাইছেন মহিলার আইনজীবী। ২ লাখ ৮৮ হাজার ডলারের সেই ক্ষতিপূরণ চুক্তি মানেননি মহিলা। সেই চুক্তির কপি নিজের কাছে রেখেছেন ওই মহিলা। যা আদালতে পেশ হওয়ার অপেক্ষায়।
কী করবেন রোনালদো? ফুটবল দুনিয়ায় এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। #মিটু মুভমেন্টকে সামনে রেখে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই লড়ছেন ক্যাথেরিন মায়োর্গা। শুরুতে রোনালদো ঘটনা অস্বীকার করলেও চুক্তির কপি তার আইনজীবীদের জন্য মাথাব্যথার কারণ। সব মিলিয়ে জুভেন্টাস তারকাকে চিন্তায় রাখছে ডিএনএ পরীক্ষা।
মার্কিন মডেল মায়োর্গার দাবি, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের একটি অ্যাপার্টমেন্টে তাকে নিয়ে যান রোনালদো। তিনি যখন পোশাক বদলাচ্ছিলেন, তখন হঠাৎ পিছন থেকে তাকে জাপটে ধরেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রোনালদো। তবে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মায়োর্গা, যে মামলার তদন্ত করছে মার্কিন পুলিশ।
আইনী ঝামেলার মধ্যে রোনালদোকে নতুন করে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিচ্ছেন সাবেক আরেক বান্ধবী। যিনি নজিরবিহীন আক্রমণের শিকার হয়েছেন পর্তুগিজ তারকা। রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক সুপারস্টারকে মানসিক বিকারগ্রস্ত ও মিথ্যাবাদী বলে আক্রমণ করেছেন তার সাবেক বান্ধবী জ্যাসমাইন লিন্নার্ড।
এখানেই থেমে থাকেননি লিন্নার্ড, ধর্ষণের অভিযোগ তোলা মার্কিন মডেল মায়োর্গাকে সাহায্য করার কথাও জানিয়েছেন ইংলিশ মডেল। সেইসঙ্গে রোনালদোর ‘আসল চেহারা’ খোলাসা করা হুমকি দিয়েছেন তিনি।