সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির পরিবর্তে সরকার বেআইনিভাবে ধরপাকড় করে ভীতির সৃষ্টি করছে মন্তব্য করে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এগুলো বন্ধ না হলে আমরা কোর্টে যাবো।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে গণফোরাম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় কামাল হোসেন বলেন, আমরা চাই নির্বাচন হোক। কিন্তু তার পরিবেশ নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তো আগে তৈরি করতে হবে।
‘প্রধান বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর বড় ধরপাকড় করা হচ্ছে। আমরা যেহেতু গণতন্ত্র মেনে চলছি, সংবিধান মেনে চলছি। আমরা মনে করি সরকারেরও সংবিধান মেনে চলার কথা। কিন্তু সংবিধান অমান্য করে বড় ধরনের ধরপাকড় চালাচ্ছে সরকার। এতে সংকট আরো ঘনীভূত হবে।’
তিনি বলেন, সরকারকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। কেন ধরা হচ্ছে, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়।
পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে দেশের সংবিধান প্রণেতা আরো বলেন, আইনে স্পষ্ট আছে কাউকে ধরতে হলে ওয়ারেন্ট থাকতে হবে, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা স্পষ্ট করতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে উপস্থিত করতে হবে। কিন্তু সংবিধান অমান্য করে ধড়পাকড় করা হচ্ছে। এটাও আইন সমর্থন করে না।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করার জন্য তাদের ধরা হচ্ছে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এটা বন্ধ হওয়া উচিত।
৪১ বছরের আগের ঘটনাকে অসভ্যতা উল্লেখ করে কামাল বলেন, নতুনভাবে অসভ্যতার দিকে চলা কামনা করি না। বিশেষভাবে হয়রানি ও অন্যায়ভাবে কষ্ট দেয়া অনুচিত।’
তিনি বলেন, জনগণই নির্ধারণ করবে কাকে জনসেবার সুযোগ দিবে। ইলেক্টেড না হলেই ভালো থাকি, দায়িত্ব আসলে সেটা একটা বোঝা।