সারা বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ ক্যানসার। তাই প্রতি বৎসর আন্তর্জাতিকভাবে ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যানসার দিবস বা বিশ্ব ক্যান্সার সচেতনতা দিবস পালন করা হয়। ক্যানসার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, সনাক্তকরণ, প্রতিরোধ এবং চিকিৎসায় উৎসাহিত করাই এই দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য।
ক্যান্সার, একটি অস্বাভাবিক কোষ বৃদ্ধিজনিত রোগ, যা শরীরের অন্যান্য অংশের উপর আক্রমণ বা বিস্তার লাভ করে। যত দ্রুত ক্যানসার সনাক্ত করা যায়, তত দ্রুত চিকিৎসা করে সফলতা পাওয়া যায়। দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের কারণে ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। জেনে নিন অভ্যাসগুলো সম্পর্কে।
তামাক: ক্যানসারের অন্যতম একটি কারণ হলো তামাক। ধূমপান এবং অন্য যে কোনো ধরনের নেশা-দ্রব্যের কারণে ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। তাই, পুরো বিশ্বেই তামাক বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলা হয়ে থাকে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য।
অতিরিক্ত ওজন: অতিরিক্ত ওজন ক্যানসারের আরেকটি মূল কারণ। ক্যানসার থেকে বাঁচতে শারীরিক গঠন ঠিক রাখা জরুরি। স্বাস্থ্যকর খাবার এবং নিয়মিত ব্যায়াম ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
অ্যালকোহল: অতিরিক্ত অ্যালকোহল প্যানক্রিয়াস এবং স্টমাক ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। যত বেশি অ্যালকোহল পান করা হয় তত ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদী অ্যালকোহল আসক্তদের মুখ, গলা, কোলন, ব্রেস্ট এবং লিভার ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
রোদ: অতিরিক্ত রোদে বেশিক্ষণ সময় কাটালেও সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির কারণে ত্বকের ক্যানসার হতে পারে। অতিবেগুনী রশ্মি ত্বকের ডিএনএ-কে ধ্বংস করে দেয়। ফলে কোষের বৃদ্ধি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যেতে পারে যা স্কিন ক্যানসারে রূপ নেয়।
লাল মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত করা মাংস, খাবার কিংবা লাল মাংস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। সালামি, বেকন, সসেজ, হ্যাম, খাসির মাংস, গরুর মাংস ইত্যাদি খাবারগুলো ক্যানসারের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে সপ্তাহে একদিন কিংবা দুইদিনের বেশি খেতে মানা করা হয় এধরণের খাবার।
চিনিযুক্ত পানীয়: অনেকেই কোমল পানীয় খুব ভালোবাসেন। খাওয়ার পরে কয়েক ঢোক না খেলে যেন চলেই না। কোমল পানীয় রক্তের চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং ওজন বাড়ায় যা ওভারি, গল ব্লাডার, প্যানক্রিয়াটিক এবং পোস্ট মেনোপোজাল ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই কোমল পানি এড়িয়ে চলাই ভালো।
লবণ: অতিরিক্ত চিনির মতোই অতিরিক্ত লবণও ক্ষতিকর। লবণাক্ত খাবার বেশি খেলে পাকস্থলীতে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রাকৃতিক খাবার থেকেই শরীরের সোডিয়ামের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। তাই খাবারে খুব বেশি পরিমাণে লবণ ব্যবহার না করাই ভালো। এছাড়াও লবণাক্ত খাবার যেমন চিপস, টেস্টিং সল্ট যুক্ত খাবার, স্বাদ বাড়ানোর মশলা ইত্যাদি এড়িয়ে চলা উচিত। এনডিটিভি