দেশে গত ২ বছরে বিভিন্ন ক্যান্সারে আক্রান্ত ২১ জনের সফল অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন বা বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত দেশের প্রথম বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টারে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনে শতভাগ সফলতা এদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাফল্যের নতুন দিগন্ত বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
সুদূর আমেরিকার বোস্টনের ম্যাসাচুয়েট্স জেনারেল হাসপাতালের সহায়তায় ২০১৩ সালের ২২ অক্টোবর দেশের প্রথম ‘অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন সেন্টার’ বা বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টারে যাত্রা শুরু। প্রতিষ্ঠার পাঁচ মাস পরে প্রথম ক্যান্সার আক্রান্ত রংপুরের ওমর আলীর অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মধ্য দিয়ে দেশেই ক্যান্সার অস্থিমজ্জা প্রতিষ্ঠানের মতো স্পর্শকারত দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসার সুযোগ উন্মুক্ত হয়।
সর্বশেষ ৩রা মে ক্যান্সার আক্রান্ত কুষ্টিয়ার কলেজ শিক্ষক নূরে সালাম সিদ্দিকী অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয় এই সেন্টারেই। এ নিয়ে মাত্র দুই বছরে দেশে ক্যান্সার আক্রান্ত ২১ জনের অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই অগ্রযাত্রায় খবর জানাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে।
ম্যাসাচুয়েট্স জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত এদেশের কৃতি সন্তান যার সহায়তা এদেশে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন সেন্টার স্থাপন করা হয় সেই ডা বিমলাংশু দে’সহ তার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্স, টেকনিশিয়ানরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ডা বিমলাংশু দে’ বলেন, ‘ম্যাসাচুয়েট্স জেনারেল হাসপাতালে যেভাবে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করি সেভাবেই এখানে কাজটি করতে পেরে আসলেই শান্তি পেয়েছি।’
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম দূরারোগ ক্যান্সারের চিকিৎসায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন,‘ অনুরোধ করবো দূরারোগ্য এই ব্যাধিকে অতিক্রম করার জন্য, দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যাতে বিত্যবানরা এগিয়ে আসেন।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্যান্সার চিকিৎসায় দেশের এই সাফল্য মানুষের মধ্যে আস্থা বাড়াবে। কমবে ক্যান্সার চিকিৎসায় বিদেশে যাওয়ার প্রবণতাও।