দেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে দাবি করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ব্রত নিয়ে আসন্ন স্বাধীনতা দিবসে সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কর্মসূচি ঘোষণাকালে ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার। কিন্তু দুর্ভাগ্য আজকে এমনদিনে আমরা স্বাধীনতা দিবস পালন করতে যাচ্ছি, যখন মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকারহীন হয়ে পড়েছে। আজকে স্বাধীনতার নায়কের স্ত্রী মিথ্যা মামলা কারাবন্দী। হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী মানুষ জেলে বন্দী। আজকে প্রায় এক লক্ষ মামলায় ২৬ লক্ষকে আসামী করা হয়েছে। যারা প্রতিদিন নির্যাতিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে দেশে একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। মানুষ বিচার পায় না। নিরাপত্তা নেই মানুষের। দশ বারো বছর ধরে আমরা দেখছি সরকারি পছন্দের মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে।গুম করা হচ্ছে।’
ফখরুল বলেন, ‘এমনই একটি কঠিন মুহূর্তে আমরা স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য দেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা গণতন্ত্র, বেগম খালেদা জিয়া ও হাজার হাজার মানুষকে মুক্ত করা৷’
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি কখনো মেনে নিব না। এর বিরুদ্ধে আমাদের সাধ্য মতো প্রতিবাদ করব।’
কর্মসূচির মধ্যে আছে ২৬ মার্চ সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধের উদ্দেশ্যে যাত্রা। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় নির্ধারণ করা হবে। একই দিন থাকছে স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও ওলামা দলের উদ্যোগে দোয়া ও ফাতেহা পাঠ।
২৫ মার্চ বিএনপির উদ্যোগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অথবা মহানগর নাট্যমঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৭ মার্চ রাজধানীতে বিএনপির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি। এছাড়া ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলাদলসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো এবং সারাদেশে বিএনপি তাদের সুবিধা অনুযায়ী কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
এছাড়া স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং দলের পক্ষ থেকে পোস্টার ছাপানো হবে।