দেশে আজ স্বাধীনতার চেতনা ও গণতন্ত্র নেই মন্তব্য করে চেয়াপার্সন খালেদা জিয়াকে নি:শর্ত মুক্তি দিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
সোমবার মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পার্ঘ অর্পণ শেষে এই দাবি জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই বলেই আজ এ অবস্থা। গণতন্ত্রহীন একটি রাষ্ট্র বাংলাদেশ। গণতন্ত্রের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল কিন্তু আজ দেশে গণতন্ত্র অবরুদ্ধ। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে লড়াই করতে হচ্ছে। যদি দেশে গণতন্ত্র থাকতো তাহলে আমাদের নেত্রীকে জামিন পাওয়ার পরও জেলে থাকতে হতো না।\
‘‘আজকের এই দিনে খালেদা জিয়াসহ কারাগারে থাকা সব নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্ত করার জন্য আমরা আন্দোলনের শপথ গ্রহণ করছি”-বলেন ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুর্ভাগ্যের কথা, আজকে এত দিন পরেও আমাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করতে হচ্ছে একটা কারা আবরণের মধ্য দিয়ে। আজকের এই স্বাধীনতা দিবসে দেশের গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী, দেশের গণতন্ত্রের মাতা কারারুদ্ধ হয়ে আছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ষড়যন্ত্র করে খালেদা জিয়াসহ দল ও অঙ্গ-সংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মীকে কারারুদ্ধ রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রের সব প্রতিস্থান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ভোটের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকারসহ সব অধিকার হরণ হয়ে গেছে।
মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নির্বাচন-রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তন করব।’
বেলা ১১টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পার্ঘ অর্পণ করেন ফখরুল। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. মঈন খান প্রমুখ।
এর আগে সকাল পৌনে ১০টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদীতে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিএনপি।