দেশের শ্রমজীবী মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তবে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির প্রতি সম্মান ও শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে বিএনপি সবসময় আপোষহীন সংগ্রাম করে গেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, শ্রমিকের ঐতিহাসিক অবদানের ফলেই বিশ্ব অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। অথচ আজও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিপীড়িত শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
মহান মে দিবস উপলক্ষে দেশে-বিদেশে কর্মরত সকল বাংলাদেশী শ্রমিক-কর্মচারী এবং বিশ্বের সকল শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছো ও অভিনন্দন জানিয়ে রোববার দুপুরে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ কর্তৃক পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
তিনি বলেন, মহান মে দিবস ঐতিহাসিকভাবে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। শ্রমজীবী মানুষের রক্তঝরা ঘামেই বিশ্ব সভ্যতার বিকাশ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হয়। অথচ এখনো বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিজেকে সবসময় একজন শ্রমিক হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করতেন। শ্রমিকদের হাতকে তিনি উন্নয়নের চাবিকাঠি ভাবতেন। তাই তিনি এদেশের শ্রমজীবী ও পরিশ্রমী মানুষের কল্যাণে তিনি যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, সরকারে থাকতে আমরা এদেশের শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছি। শ্রম আইন সংস্কার ও আধুনিকীকরণ, বেতন ও মুজুরী কমিশন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরী নির্ধারণ, বাস্তবায়ন ও তাদের বোনাস প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের সন্তানদের চিকিৎসা ও তাদের লেখা-পড়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের শ্রমিক সমাজের ভাগ্যোন্নয়নে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ ও প্রয়োগ করেছি।
খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে এই প্রচেষ্টা আগামীতেও অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে খালেদা জিয়া মহান মে দিবসের সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।