হারারেতে ১৫৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ। ২৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে থেমে যায় একশ পেরিয়ে। ফিল্ডিং করার সময় চোট পাওয়া টিমিসেন মারুমা ব্যাট করতে পারেননি। এদিন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছেন সাকিব।
বাংলাদেশ: ২৭৬/৯ (৫০ ওভার), জিম্বাবুয়ে: ১২১/৯ (২৮.৫ ওভার)
সাকিব আল হাসান নিয়েছেন ৫ উইকেট। ৯.৫ ওভার বোলিং করে দেন ৩০ রান। ওয়ানডেতে তৃতীয় বার ৫ বা ততোধিক উইকেটের অর্জন বাঁহাতি স্পিনারের। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম নেন একটি করে উইকেট।
সাকিব এদিন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে ছাড়িয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের শিখরে বসেছেন। ২১৩ ম্যাচে তার নামের পাশে এখন ২৭৪ উইকেট। মাশরাফী দুইয়ে ২১৮ ম্যাচে ২৬৯ উইকেট নিয়ে। তিনে সাবেক বাঁহাতি স্পিনার ও বর্তমানে নির্বাচক কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের উইকেট ২০৭টি।
দেশের বাইরে এটিই সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয় বাংলাদেশের। আগের বড় জয়টি ছিল ১২১ রানে। সেটিও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। ২০১৩ সালে সবশেষ সফরে বুলাওয়েতে ১২১ রানে জিতেছিল টাইগাররা।
শুক্রবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বাংলাদেশের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি জিম্বাবুয়ে। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ব্রেন্ডন টেলরের দল। স্বাগতিক অধিনায়ক সাকিবের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরার পর আরও খারাপ অবস্থা হয় দলটির।
সবার ব্যর্থতার দিনে কিছুটা ব্যতিক্রম রেগিস চাকাভা। সোতের বিপরীতে হেঁটে তুলে নেন ফিফটি। ৫১ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে তিনি আউট হতেই বাংলাদেশের রেকর্ড ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে টাইগার ওপেনার লিটন দাসের সেঞ্চুরি ও শেষে আফিফ হোসেনের ক্যামিও ইনিংসে ২৭৬ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
শুরুর চাপ বাংলাদেশ সামলে নেয় লিটন দাসের ব্যাটে চেপে। অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে পথ দেখিয়েছেন তিনি। আর শেষে আফিফ হোসেন ধ্রুবর ঝড়ো ইনিংস। লিটন ১০২, আফিফ ৪৫, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৩৩ রানের ইনিংসে ভর পৌনে তিনশয় যায় সফরকারীরা।
সেঞ্চুরির পর রানের গতি বাড়াতে চেয়েছিলেন লিটন। রিচার্ড এনগারাভাকে ছক্কার চেষ্টায় ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। সীমানায় ক্যাচ দিয়েছেন। ১১৪ বলে ৮ চারে ১০২ রান করে যান তিনি।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আউট হন ওপেনার তামিম। একে একে সাজঘরে ফেরেন সাকিব আল হাসান (১৯), মোহাম্মদ মিঠুন (১৯) ও মোসাদ্দেক হোসেনকে (৫)। ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখায় পঞ্চম উইকেট জুটি।
লিটন ও মাহমুদউল্লাহ জুটিতে ৯৩ রান যোগ করার পর শেষে ক্যামিও ইনিংস খেলেন আফিফ। ৩৫ বলে একটি চার ও দুই ছক্কায় করেন ৪৫ রান। মেহেদী হাসান মিরাজ ২৫ বল খেলে করেন ২৬ রান। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৬ বলে ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
জিম্বাবুয়ে পেসার লুক জঙ্গুয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। মুজারাবানি ও এনগ্রাভা নেন ২টি করে উইকেট।