আন্তর্জাতিক নারী দিবস’২১ এবং বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস দেশের নারী ও মেয়েদের স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) বিষয়ে কর্মজীবন গড়ে তুলতে উত্সাহিত করার লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
দেশীয় এনজিও সংস্থা এডুকেশন অ্যান্ড কালচারাল সোসাইটি (ইসিএস)-এর সঙ্গে যৌথভাবে একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছে মার্কিন দূতাবাস। এই প্রকল্পের আওতায়, দুই-বছরব্যাপী এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশজুড়ে স্টেম প্রতিযোগিতা আয়োজন করা ছাড়াও ৮০০ এর বেশি স্টেম প্রশিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার দূতাবাসের অর্থায়নে গৃহীত প্রকল্প ‘শিক্ষার্থীমুখী স্টেম শিক্ষার উন্নয়নের মাধ্যমে মার্কিন-বাংলাদেশ টেকসই সম্পর্ক জোরদারকরণের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ঢাকার ব্র্যাক ইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, স্টেম শিক্ষাবিদ ও শিক্ষার্থীদের সাথে যোগদান করেন।
রাষ্ট্রদূত মিলার অনুষ্ঠানে দেওয়া তার বক্তৃতায় বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের স্বীকৃতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) বিষয়ে নারী ও মেয়েদের শিক্ষা-গ্রহণ ও কর্মজীবন গড়ে তুলতে তাদেরকে উত্সাহিত, অনুপ্রাণিত ও সহযোগিতা করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স সেকশনের অর্থায়নে পরিচালিত দুই-বছরব্যাপী এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্টেম বিষয়ে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করা হবে। যার মধ্যে দেশব্যাপী স্টেম প্রতিযোগিতা আয়োজন এবং স্টেম প্রশিক্ষক ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষক-প্রশিক্ষণ রয়েছে। এছাড়াও জব ফেয়ার (চাকরি মেলা) ও ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং (কর্মজীবন গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরামর্শ দেয়া)-এর মাধ্যমে তরুণীদের (১৮-২৫ বছর) প্রযুক্তি খাতে সফল পেশাগত জীবন গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরামর্শ দেয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের নতুন এই স্টেম শিক্ষা উদ্যোগ প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী অংশীদার হলো এডুকেশন অ্যান্ড কালচারাল সোসাইটি (ইসিএস)। ইসিএস একটি অলাভজনক বাংলাদেশি সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের সাবেক বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা এই সংস্থাটি গড়ে তুলেছেন। তাদের কাজের অন্যতম ক্ষেত্র হলো স্টেম শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা এবং এর সম্প্রসারণ ও বিস্তার ঘটানো।
এছাড়াও ইসিএস নারী ও মেয়েদের শিক্ষার বিস্তার ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশব্যাপী অধিকার ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে; যার মধ্যে রয়েছে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা (জিবিভি) মোকাবেলা করা, সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধ (পিভিই) করা, বাল্য বিবাহ রোধ এবং অকালে মাতৃত্ব-গর্ভধারণ রোধ করা।