সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন জেলায় আজ মঙ্গলবার পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ উল আযহা। দেশের বেশ কিছু জেলায় মঙ্গলবারের বিভিন্ন সময়ে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
দিনাজপুর
সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে মঙ্গলবার দিনাজপুরের সদর, কাহারোল, চিরিরবন্দর এবং বিরল এই ৪টি উপজেলায় ঈদ উল আযহার নামাজ আদায় করেছে প্রায় দুই হাজার মুসল্লি। পরে পশু কোরবানি দেন তারা। দিনাজপুর শহরের কমিউনিটি পার্টি সেন্টারে সকাল সোয়া ৮টায় ঈদের জামাতের নামাজে ইমামতি করেন সাইফুল ইসলাম। এতে নামাজ আদায় করেন দুই শতাধিক অনুসারি।
এছাড়াও কাহারোল উপজেলার বলেয়া ভবানীপুর চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতাড়ার রাবার ড্যাম এলাকা, বিরলের সালন্দরসহ কয়েকটি স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন অনুসারিরা।
নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকায় ঈদ উল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় হযরত শাহ্ সুফী মমতাজিয়া এতিমখানা ও হেফজখানা মাদ্রাসায় ‘জাহাগিরিয়া তরিকার’ অনুসারীরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের জামাতে অংশ নিতে গাজীপুরের টঙ্গী, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, পুরাতন ঢাকা, ডেমরা, সাভার এবং নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, বন্দর ও সোনারগাঁ উপজেলা থেকে মুসল্লিরা অংশ নেন। ঈদের জামাতের ইমামের দায়িত্ব পালন করেন হযরত শাহ্ সুফী মমতাজিয়া মাদ্রাসার ইমাম মুফতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন শুভ। জামাত শেষে পশু কোরবানি করেন মুসল্লিরা।
বরিশাল
বরিশালেও মঙ্গলবার ঈদ উদযাপন করেছেন কাদেরিয়া তরিকার অনুসারীরা। নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে হরিণাফুলিয়া চৌধুরীবাড়ি শাহ্ সুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদে নামাজের ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা আবু জাফর।
এছাড়া নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়া সড়ক শাহ সুফি মমতাজিয়া মসজিদ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে তাজকাঠি জাহাগিরিয়া শাহ সুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরিশালের বিভিন্ন উপজেলাতেও জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
চাঁদপুর
চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে আজ মঙ্গলবার পবিত্র ঈদ উল আযহা উদযাপিত হচ্ছে। চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি ও মতলব উত্তরের এসব গ্রামে ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায় ঈদ উদযাপন করছেন।
সকাল ১০টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় হাজীগঞ্জের সাদ্রা মাদ্রাসা মাঠে। এখানে ইমামতি করেন পীরজাদা মাওলানা আরিফ চৌধুরী। সকাল ৯টায় ফরিদগঞ্জের টোরা মুন্সীরহাটে ঈদের দ্বিতীয় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা রহমত উল্লাহ।
জেলার হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) ১৯৩৩ সাল থেকে এই দেশে এমন ধর্মীয় প্রথা চালু করেন। তারপর থেকে তার অনুসারীরা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে এভাবে আগাম দুটি পবিত্র ঈদ এবং রোজা পালন করছেন।
পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর ২২টি গ্রামের আংশিক এলাকায় আজ ঈদ উল আযহা উদযাপন করছেন কয়েক হাজার মুসলমান পরিবার। সকাল ৯ টায় সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরীফ মসজিদে ঈদের নামাজের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। খতিব ছিলেন হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ।
এছাড়া রাঙ্গাবালী উপজেলার পশরিবুনিয়া ও খালগোরা দায়রা জামে মসজিদ এবং কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী দায়রা মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের নামাজের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে পশু কোরবানি দেয়া হয়।
নোয়াখালী
নোয়াখালীতে আজ ২৫টি গ্রামে পবিত্র ঈদ উল আযহা পালিত হচ্ছে।
শরীয়তপুর
শরীয়তপুরের ৩০ গ্রামে ঈদ উল আযহা উদযাপিত হচ্ছে। শরীয়তপুর জেলার শুরেশ্বর পীরের ভক্ত অনুসারী সহ জেলার প্রায় ৩০ গ্রামের ১২শ পরিবার আজ মঙ্গলবার পবিত্র ঈদ উল আযহা উদযাপন করছে। ঐতিহ্যবাহী শুরেশ্বর দরবার শরীফ মাঠে সকাল সাড়ে ৯ টায় প্রথম জামাত ও ১১ টায় দ্বিতীয় জামাতের পর পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে ঈদ উদযাপন করেন ভক্ত-মুরিদানরা।