গেটাফের বিপক্ষে ৪৮ হাজার ৪৪৬ আর আলাভেসের বিপক্ষে ৫২ হাজার ৩৫৬। এই হল চলতি লা লিগা মৌসুমের প্রথম ম্যাচে যথাক্রমে রিয়াল মাদ্রিদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ও বার্সেলোনার মাঠ ন্যু ক্যাম্পে উপস্থিত দর্শকদের সংখ্যা। রিয়ালের ইতিহাসে শেষ দশ মৌসুমে যা কিনা সর্বনিম্ন! জনপ্রিয় দুই দলের মৌসুমের প্রথম ম্যাচে উপস্থিত দর্শকদের সংখ্যা দেখে কপালে ভাঁজ পড়ার যোগার লা লিগা কর্তৃপক্ষের।
অথচ নিজেদের প্রথম ম্যাচে দর্শকদের সবরকম বিনোদনই দিয়েছে বার্সা-রিয়াল। আলাভেসের বিপক্ষে লিওনেল মেসি জোড়া গোল করেছেন। তার একটি আবার বার্সার ইতিহাসে ৬ হাজারতম গোল। একই ম্যাচে লা লিগায় অভিষেক ঘটেছে আর্তুরো ভিদাল ও আর্থারের।
অন্যদিকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোবিহীন যুগে নিজের সামর্থ্যের জানান দিতে রিয়ালের হয়ে গোল পেয়েছেন গ্যারেথ বেলও। দলও পেয়েছে সহজ জয়। কিন্তু এরপরও কেনো দর্শক খরা এ দুই দলের ম্যাচে?
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা কয়েকটি কারণ সামনে এনেছে বার্সা-রিয়ালের দর্শক হারানোর যুক্তি হিসেবে। সেই কারণগুলো দেখিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে চলতি মৌসুমের বাকি ম্যাচগুলোতে আরও দর্শক হারাবে এই দুটি দল।
মার্কার যুক্তিতে প্রথমেই থাকছে সাম্প্রতিক সময়গুলোতে লা লিগার খেলার সূচি। গত মৌসুমের শেষদিকে এইবারের বিপক্ষে মঙ্গলবার রাত ১০টায় ম্যাচ খেলতে হয়েছিল বার্সাকে। তাতে ৯০ হাজারের বেশি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ন্যু ক্যাম্পে আসন ফাঁকা ছিল প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি। এবারও অনেকটা সে রকমই হচ্ছে।
লিগের প্রথম ম্যাচে আলাভেসের বিপক্ষে বার্সা ম্যাচ খেলেছে শনিবার স্পেন সময় রাত ১০.১৫ মিনিটে। পরেরদিন রিয়ালের খেলার সময়টাও ছিল একই। তার পরেরদিন ছুটি থাকায় তবুও মেসিদের ম্যাচ দেখতে গেছে দর্শক, কিন্তু রোনালদোবিহীন রিয়ালের ম্যাচ দেখতে এত রাতে মাঠে যাওয়ার কোনো খুঁজে পায়নি দর্শকরা। কেননা, পরেরদিন অর্থাৎ সোমবার থেকে যে শুরু সপ্তাহের নতুন কর্মদিবস।
দর্শক হারানোর অন্যতম কারণ হিসেবে রোনালদোর অদৃশ্য হাতও দেখতে পাচ্ছে মার্কা। এতদিন মেসি-রোনালদোর যে দ্বৈরথ দেখার লোভে দর্শকরা মাঠে হাজির হতেন, পর্তুগিজ তারকা ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে চলে যাওয়ায় সেই আগ্রহে অনেকটাই ভাটা পড়েছে। মেসি হয়ে গেছেন একা। এল ক্ল্যাসিকোতেও একই কারণেই দর্শক কম থাকবে বলে আশঙ্কা করছে মার্কা।