চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

দূষণে ১ বছরে বিশ্বে ৯০ লাখ মানুষের মৃত্যু

দূষণের প্রভাব কতোটা ভয়াবহ হতে পারে তা নিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে নানা গবেষণা। এ বিষয়ে এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, দূষণের কারণে ২০১৯ সালে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ অকালে মারা গেছে।

এনডিটিভি তাদের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, আজ বুধবার প্রকাশিত এই নতুন প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে ক্রমবর্ধমান এই মৃত্যু এবং সীসার বিষাক্ততার ‘ভয়ঙ্কর’ বৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

বাতাস, পানি এবং মাটিতে মানুষের সৃষ্ট বর্জ্য মানুষকে তাৎক্ষণিকভাবে হত্যা করে না এর পরিবর্তে হৃদরোগ, ক্যান্সার, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া এবং অন্যান্য গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করে।

দূষণ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ল্যানসেট কমিশন বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্যের উপর দূষণের প্রভাব ‘যুদ্ধ, সন্ত্রাস, ম্যালেরিয়া, এইচআইভি, যক্ষ্মা, মাদক ও অ্যালকোহলের চেয়েও অনেক বেশি।’

দূষণ হলো মানব স্বাস্থ্য এবং গ্রহের অস্তিত্বের জন্য হুমকি এবং আধুনিক সমাজের স্থায়িত্বকে এটি বিপন্ন করে তোলে বলে উল্লেখ করেছে কমিশন।

সাধারণভাবে এই পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০১৯ সালে বায়ু দূষণই বিশ্বব্যাপী মোট ৬৭ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী এবং তা জলবায়ু পরিবর্তনের সাথেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারণ এই উভয় সমস্যার মূল উৎসই জীবাশ্ম জ্বালানী এবং জৈব জ্বালানী পোড়ানো।

‘আমরা যদি পরিচ্ছন্ন ও সবুজ পরিবেশ বাড়াতে না পারি, তাহলে এটা আমাদের ভয়ঙ্কর ভুল’ বলে জানান প্রতিবেদনের প্রধান লেখক রিচার্ড ফুলার।

গ্লোবাল অ্যালায়েন্স অন হেলথ অ্যান্ড পলিউশনের এই প্রধান লেখক আরও বলেন, রাসায়নিক দূষণ জীববৈচিত্র্যেরও ক্ষতি করে যা আরেকটি বড় বৈশ্বিক হুমকি।

তিনি আরও বলেন, এই সব বিষয়গুলো ভয়ঙ্করভাবে সংযুক্ত এবং একটার সাথে মোকাবিলা করার কৌশলগুলো অন্যক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে।

সামগ্রিকভাবে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজনের অকালমৃত্যু ঘটছে দূষণের কারণে, যা ২০১৫ সালের শেষ মূল্যায়নের পর থেকে অপরিবর্তিত রয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ায় শিল্পায়ন, বাইরের বাতাস এবং রাসায়নিক দূষণের কারণে মৃত্যু বাড়ছে।

ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ-এ প্রকাশিত সমীক্ষা অনুসারে, পরিবেষ্টিত বায়ু দূষণ ২০১৯ সালে প্রায় ৪৫ লাখ মৃত্যুর কারণ হয়েছিল, যেখানে ২০১৫ সালে তা ছিলো ৪২ লাখ এবং ২০০০ সালে তা ছিলো মাত্র ২৯ লাখ ছিল।