একটু মনে করে দেখুন তো, ছাত্রজীবনে কী সব বিষয়ে পড়তে পছন্দ করতেন? নাকি অংকের ভয় থাকার কারণে পড়ার টেবিলে যেতেই ভালো লাগত না। কিংবা বায়োলজিতে হয়তো ভীষণ অরুচি ছিল। বিষয়টি নিশ্চয়ই আপনার সন্তানের ক্ষেত্রেও একই। তারও হয়তো কোনো কোনো বিষয়ে আছে রাজ্যের ভীতি এবং দুর্বলতা।
অংক কিংবা অন্য যে কোনো অপ্রিয় বিষয়কে আয়ত্তে নিয়ে আসার একটি সহজ পদ্ধতি জানিয়েছেন কানাডার ম্যাক মাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষক বারবারা ওয়াকলে। অথচ মজার বিষয় হলো, একসময় তিনি অংক ভীষণ ভয় পেতেন। হাই স্কুলের পরে পড়াশোনাই ছেড়ে দিয়েছিলেন অংকের ভয়ে। এর প্রায় একযুগ পর ২৬ বছর বয়সে নিজের ভুলটা বুঝতে পারেন তিনি। তখন তিনি সেনাবাহিনীতে খুব অল্প বেতনে চাকরি করতেন। তার মনে হলো, সেনাবাহিনী নয়, সাধারণ জীবন চাই তার। ভয়কে জয় করে আবারও পড়াশোনা শুরু করলেন তিনি। নিজের চেষ্টায় অংকে পারদর্শী হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি।
জেনে নিন কীভাবে মাত্র ৪টি ধাপে ভয়কে জয় করলেন তিনি, সেই সম্পর্কে-
প্রথমে নিজেকে প্রশ্ন করুন জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে। বারবারা ওয়াকলে সৈন্য থেকে সাধারণ জীবনে ফিরে সফল হতে চেয়েছিলেন। জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা থাকলে লক্ষ্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার সব বাঁধা আপনা-আপনিই সরে যাবে। আপনিও সব ভয়কে সহজেই জয় করতে পারবেন।
একবারে বেশি পড়া পড়বেন না। অল্প অল্প করে পড়ুন এবং বেশ কিছুটা সময় বিরতি দিন। ধরুন ২৫ মিনিট পড়াশোনা করলেন। এরপর কিছুক্ষণ কফি তৈরি করুন নিজের জন্য অথবা জানালা দিয়ে সবুজ প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে থাকুন। এটাকে পমোডোরো টেকনিক বলা হয়। এই পদ্ধতিতে পড়ার একঘেয়েমির ঝিমুনি আসা দূর হয় এবং পড়াশোনার প্রতি বিরক্তি কমে যায়।
আত্মবিশ্বাস হারানো যাবে না। একটি বিষয় প্রথমবারেই আপনি বুঝে যাবেন, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। কিংবা অন্যরা শিখে ফেলছে অথচ আপনি পারছেন না, এটা নিয়েও হতাশ হবেন না। ব্যক্তি বিশেষে শেখার সময়ের তারতম্য হতে পারে। যে বিষয়টি এখন আপনার কাছে কঠিন মনে হচ্ছে সেটাই ১০ বার অনুশীলন করলে সহজ হয়ে যাবে।
পুরো রাত জেগে পড়াশোনা করতে গিয়ে ঘুম নষ্ট করবেন না। কারণ ঘুমের সাথে পড়া মনে থাকার সম্পর্ক খুবই গভীর। ঘুমানোর আগে যে বিষয়টি অনুশীলন করেছেন, পর্যাপ্ত ঘুম হলে সেটা স্মৃতিতে বেশিক্ষণ থাকার সম্ভাবনা থাকে। প্রচুর অনুশীলন এবং পর্যাপ্ত ঘুম, এই দুটি বিষয়ের প্রতি অবশ্যই যত্নশীল হতে হবে। ফেমিনা।