সিনিয়র দল শুক্রবার পাকিস্তানের কাছে হেরেছে টি-টুয়েন্টিতে ধীর ব্যাটিংয়ের খেসারত দিয়ে। একইদিনে পাকিস্তানের যুবাদের বিপক্ষে টাইগার যুব দল চরম বাজে ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখাল বিশ্বকাপে। ম্যাচটা অবশ্য পরিত্যক্ত হয়েছে, আর গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার পর্বে গেছে বাংলাদেশ।
নকআউট পর্বে যাওয়া আগেই নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। টানা দুম্যাচে জিম্বাবুয়ে ও স্কটল্যান্ডকে উড়িয়ে। পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচটি ছিল দুদলের মধ্যে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মঞ্চ। বৃষ্টি বিভ্রাটের পর টাইগার যুবারা সেরা হয়েছে। রানরেটে এগিয়ে থেকে।
গ্রুপ ‘সি’তে তিন ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৫, পাকিস্তানেরও একই। দুদলেরই জয় দুটি করে। আর শুক্রবারের ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি। শেষে রানরেটে অনেকটা এগিয়ে থেকে গ্রুপে শীর্ষে বাংলাদেশ। আকবর আলীর দলের রানরেট যেখানে ৫.০০৮, পাকিস্তানের সেখানে ২.৭০৬!
গ্রুপ ‘সি’র সেরা বাংলাদেশ কোয়ার্টার পর্বে খেলবে গ্রুপ ‘ডি’তে শনিবার হতে যাওয়া স্বাগতিক সাউথ আফ্রিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ম্যাচে জয়ীর বিপক্ষে। আর পাকিস্তান শেষ আটে খেলবে গ্রুপ ‘ডি’র সেরা আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল পচেফস্ট্রুমে এদিন যে ব্যাটিং করেছে, সেটি দুশ্চিতা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ। যেখানে নিজেদের ইতিহাসের সেরা যুব দল গড়ে বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন নিয়ে সাউথ আফ্রিকা গেছে আগামীর জাতীয় দল সদস্যরা, সেখানে আকবর-তৌহিদদের এমন বিপর্যস্ত ব্যাটিং বড় দুর্ভাবনারই!
ম্যাচে মাঝেমধ্যেই হানা দিচ্ছিল বৃষ্টি। টসে দেরি। খেলায় দেরি। ৩৯ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে পরে আরও দুই ওভার খেয়ে ফেলে বেখেয়াল প্রকৃতি! বাংলাদেশ ২৫ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৯ রানে থাকার সময় আবারও যখন বৃষ্টি নামে, আসে দীর্ঘ বিরতি, বল পরে আর মাঠেই গড়ায়নি।
তার আগেই টাইগার যুবাদের ব্যাটিং দুর্দশার জারিজুরি-কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে। আউট হওয়া ৯ ব্যাটসম্যানের মধ্যে ৬ জনই দুঅঙ্ক ছুঁতে পারেননি। দুই আউট হওয়া ও এক নটআউট দুঅঙ্কে গেছেন কেবল।
ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ৫, মাহমুদুল হাসান জয় শূন্য, তৌহিদ হৃদয় ৪, অধিনায়ক আকবর আলী ৫, শামিম হোসেন ২, তানজিম হাসান সাকিব শূন্য ও রাকিবুল হাসান শূন্য রানে সাজঘরে হাঁটা দেন।
আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান ৩ চার ও এক ছক্কায় ৩৫ বলে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন। অভিষেক দাস ২৬ বলে ২০, শাহাদাত হোসেন ৪১ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। তাতে কোনোমতে একশ পার হয় সংগ্রহ।
যুবাদের লাইনআপে হানা দিয়েছেন দুই পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির খান ও আব্বাস আফ্রিদি। আমির ৩০ রানে ৪ উইকেট ও আফ্রিদি ৩ উইকেট নেন ২০ রানে।