ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বৃষ্টি ঢাকাবাসীকে আজ অনেক দিন পর কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে। তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ ঢাকা শহরে ২০ দিন আগে শেষবারের মতো বৃষ্টি ঝরেছিল।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে গত ২৭ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার পাঁচ দিন পর বাংলাদেশ সময় সকাল নয়টার দিকে ভারতের উড়িষ্যায় আঘাত হানে ফণী। সাত শ কিলোমিটার দূরে প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানলেও বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় প্রভাব পড়ে ১০ মিনিটের ভেতর।
সকাল সোয়া নয়টার দিকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়। ১০ মিনিট বৃষ্টির পর আধা ঘণ্টার বিরতি। এ সময় আবার রোদ ওঠে। আধা ঘণ্টা পর আবার ঘন মেঘে ছেয়ে যায় ঢাকার আকাশ। এবার বেশ ভারী বৃষ্টি পড়ে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়।
ঢাকাসহ সারাদেশে গ্রীষ্মের তাপদাহ নগর জীবন অস্থির করে তুলছিল যখন তখন এই বৃষ্টি। কিন্তু অল্প বৃষ্টিতে শহর তলিয়ে যায়। জনজীবন অচল হয়ে পড়ে। বৃষ্টি ও ঝড় না হওয়ায় দেশের অন্যান্য এলাকার মতো ঢাকা শহরে তাপমাত্রা অসহনীয় ছিল। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকে নগরবাসী। দুর্বল হয়ে গেলেও ফণীর কারণে আজ সারা রাত দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। আগামীকাল ফণীর প্রভাবে ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত মোকাবেলায় উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের প্রায় সব ঝুঁকিপূর্ণ জেলায় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে উপকূলীয় ১৯ জেলার ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫ জন ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। দুর্যোগ প্রবণ এসব জেলায় ইতোমধ্যে প্রায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবকও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই এই ঘূর্ণিঝড় দুর্বল না হওয়া পর্যন্ত আসলে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং প্রস্তুতি রাখতে হবে।
এই শঙ্কার ভেতর বৃষ্টি নিয়ে এসেছে শান্তির পরশ। এখন সিটি কর্পোরেশনসহ অন্যান্য সংস্থাগুলোর যথাযথ উদ্যোগ না থাকলে বৃষ্টির জন্য ঢাকাবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে আবার। স্বস্তির বৃষ্টি দুর্দশায় পরিণত হবে। ফণীর জন্য দুশ্চিন্তা থাকলেও স্বস্তির বৃষ্টি নগর জীবনে এনেছে শান্তির পরশ।