আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিপন্ন মানবতার পাশে দাঁড়িয়ে দুর্যোগ দুর্বিপাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন ৭৫ পরবর্তীকালে কোন সরকার প্রধান বা রাজনৈতিক নেতা এমন নজির স্থাপন করতে পারেননি।
বুধবার সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ ও অসহায়- দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
একটা দল সরকারের বিরুদ্ধে গলাবাজি করছে, তাদের কোন কাজ নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার এই দুঃসময়ে তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এমন একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেনি, কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তা করে দেখিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে কিন্তু একটা দল ঢাকায় বসে শুধু লিপ সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, তারা একেক সময় একেক আন্দোলনের ওপর ভর করে ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতায় লিপ্ত, তারা করোনার এই সংকটের সময়েও সহিংসতার উস্কানি দিচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা ভাসমান, ঘর বাড়ি নেই তাদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ নিতে হবে এবং বিতরণের সময় সবাইকে একটি করে মাস্ক বাধ্যতামূলক দিতে হবে।
সারাদেশে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ক্যাম্পেইন করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
লকডাউনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোথাও না যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এধরণের ঝুঁকি নিলে উৎসবের আগেই মৃত্যুর ট্যাজেডি অনিবার্য হয়ে পড়ে, কাজেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে আগে জীবন, পরে জীবিকা। তাই উৎসব আনন্দের কি দাম আছে, যদি জীবন থেকেই দূরে সরে যেতে হয়।বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে অনেক উৎসব – আনন্দ করা যাবে।
ঈদ যাত্রা যেন অন্তিম যাত্রায় পরিণত না হয়, – সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।