দুদকের মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ মশিউর রহমানকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া জ্ঞাত আয় বর্হিভূত ১০ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩শ’ ৩০ টাকার অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং ৭০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৯ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশও দিয়েছেন যশোরের বিশেষ আদালতের বিচারক।
প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ঝিনাইদহে আধাবেলা হরতাল পালন করছে জেলা বিএনপি। মশিউর রহমান ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি। এর আগে তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন প্রায় ১০কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন মৃধা মামলা দায়ের করেন।
২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলাটি তদন্ত শেষে মো. মসিউর রহমানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখির করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে যশোরের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন।
২০০৯ সালের শেষের দিকে ঝিনাইদহ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত মামলাটি আমলে নেন। আমলযোগ্য মামলাটির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে প্রসিডিং কোয়াসমেন্টের জন্য আবেদন করেন মো. মসিউর রহমান। এরপর ২০১০ সালের ৬ জুন উচ্চ আদালত মামলাটির পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত করেন।
চার বছর পর ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল উচ্চ আদালত আসামির মকদ্দমা খারিজ করে স্থগিতাদেশ বাতিল করেন। একই সঙ্গে স্পেশাল জজ আদালত যশোরকে মামলার কার্যক্রম আইন অনুযায়ী পরিচালনার নির্দেশ দেন। এরপর আসামি পক্ষের বিভিন্ন সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়। ১৬ অক্টোবর আদালতে দুই পক্ষের আইনজীবীর যুক্তি তর্ক উপস্থাপন সম্পন্ন হয়।