চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

দুবাই-ইটালি থেকে ফিরে মাদক সিন্ডিকেট, অবশেষে নিহত

দ্রুত বিত্তশালী হওয়ার লোভে দুই চাচাতো ভাই আক্তার হোসেন ও আসিবুর রহমান মিম মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।

তিনি বলেন, র‌্যাব বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারে মিম ও আক্তার সম্প্রতি মাদক ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করে। আক্তার ও মিম সম্পর্কে চাচাতো ভাই। আক্তার সাত বছর দুবাইয়ে ছিল। দু’বছর আগে দুবাই থকে ফিরে সে একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি নিলেও দু’মাস আগে তা ছেড়ে দেয়। অন্যদিকে আসিবুর রহমান মিম চার বছর ইটালিতে ছিল, সাত আট মাস আগে ইটালি থেকে দেশে ফেরে সে।

গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় টঙ্গীর দত্তপাড়ার ইশানদি সরকার রোডের একটি নির্মাণাধীন ভবনের নিচে আক্তার ও মিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আক্তারের বাবা মো. মজিবুর রহমান ১৪ ডিসেম্বর টঙ্গী থানায় ১৪ জন এজহারভুক্ত ও ৫/৭ অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে।

মুফতি মাহমুদ খান জানান, দুই চাচাতো ভাই দ্রুত বিত্তশালী হবার লোভে পড়ে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। তারা দত্তপাড়াকেন্দ্রিক একটি মাদক বিক্রির সিন্ডিকেট তৈরি করে। এই সিন্ডিকেটও দুর্ধর্ষ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির। এই গ্রুপে প্রায় ১০/১৫ জন সদস্য ছিল।

বিদেশ ফেরত, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল এবং স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় সহজেই মিম ও আক্তারের নেতৃত্বাধীন দলটি দত্তপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। এভাবেই এলাকা ভিত্তিক মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের জের ধরে হুমায়ুন গ্রুপ এবং বিদেশ ফেরত আক্তার হোসেন ও আসিবুর রহমান মিম গ্রুপের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।

দুই গ্রুপের মাদক ব্যবসার জের ধরে এলাকায় নানা সময়ে উত্তজনা সৃষ্টি হয়। মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ ধীরে ধীরে আক্রোশে রূপ নেয়। এক পর্যায়ে এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারানোর শঙ্কা, মাদক ব্যবসার মুনাফা কমে যাওয়া ও হেয় হওয়ার কারণে আক্তার ও মিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে হুমায়ুন গ্রুপ।

মুফতি মাহমুদ বলেন, হত্যার মূল পরিকল্পনা হুমায়ুন ও বেল্লাল টঙ্গীর সম্রাট হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামি। তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।