‘জাতীয় কবিতা পরিষদে’র আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় লাইব্রেরী চত্বরে শুরু হয়েছে দুদিন ব্যাপী ‘জাতীয় কবিতা উৎসব’। দেশি-বিদেশি অনেক কবি এবং সাহিত্যপ্রেমিরা যোগ দিয়েছেন এই উৎসবে।
দেশহারা মানুষের সংগ্রামে কবিতা’ শ্লোগান নিয়ে শুরু হয়েছে ৩২ তম জাতীয় কবিতা উৎসব। আয়োজক বাংলাদেশসহ মোট ১০ টি দেশের কবি এতে যোগ দিয়েছেন।
মানুষের মূল্যবোধের বিপর্যয়ের কারণে এখন শিক্ষার্থী দ্বারা শিক্ষকরা লাঞ্ছিত হচ্ছে। আর এ অবস্থা পরিবর্তনের জন্য আমাদেরই কাজ করতে হবে। -বর্তমান প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে এভাবেই নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন কবি আসাদ চৌধুরী।
শুধু তাই নয়, রোহিঙ্গা শরণাার্থীদের অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্টের কথাও তুলে ধরেন আসাদ চৌধুরী। তিনি বলেন, যুগে যুগে অমানবিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা রেখেছে কবিতা।
কবি আসাদ চৌধুরীর সঙ্গে গলা মিলিয়ে অন্যান্য বক্তারাও বলেন, বর্বরতা আজ সর্বব্যাপী। কবিতা চর্চার মাধ্যমে মানবজাতি এ সংকট থেকে উত্তরণ পেতে পারে।
১৯৮৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব সময়ের কথাকে-ই কবিতার ভাষায় তুলে ধরছে বারবার। এবারের উৎসবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইডেনসহ আটটি দেশের প্রতিনিধি ও দেশীয় কবিরা তাদের স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।