আদালতের অনুমতি ব্যতীত দুদক নাগরিকের সম্পত্তি জব্দ কিংবা ক্রোকের আদেশ দিতে পারে না বলে রায়ে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তার দেয়া নির্দেশ আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করে দেয়া রায়ে এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় আজ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশিত সে রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘কোন সম্পত্তি অবৈধ উপায়ে অর্জিত হয়েছে বলে যদি অভিযোগ থেকে থাকে তবু সংশ্লিষ্ট আদালতের অনুমতি ব্যতীত কেউ, এমনকি দুর্নীতি দমন কমিশনেরও ক্ষমতা নেই দেশের নাগরিকের সম্পত্তি জব্দ কিংবা ক্রোকের আদেশ দেয়ার। তবে যদি প্রাথমিকভাবে এটা প্রতীয়মান হয় যে, এই রিটকারির সম্পত্তি অবৈধভাবে অর্জিত হয়েছে, সেক্ষেত্রে দুদকের আইনগত পদক্ষেপ নিতে এই রায় বাধা হবে না।’
এর আগে দুদকের চট্টগ্রাম-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন গত ৬ জানুয়ারি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের কক্সবাজার শাখার ব্যবস্থাপককে ফার্মেসি ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বেলায়েত হাইকোর্টে রিট করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। আদালত তার রুলে বেলায়েতের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে দুদকের ওই উপ-সহকারী পরিচালকের দেওয়া নির্দেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চান। গত ২৩ জুন এই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২৭ জুন হাইকোর্ট রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন। সেই রায়ের পূর্নাঙ্গ অনুলিপি আজ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রাকিবুল হাসান। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ।