জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। সীমান্তের ওপারেও দিন দিন তার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। গত আড়াই বছরে দু’দেশে এই নায়কের ফ্যান-ফলোয়ার্স বেড়েছে রহস্যজনক ভাবে! বিশেষ করে মূল ধারার দর্শকদের কাছে দেশের নায়কের মধ্যে পছন্দের শীর্ষে শাকিব খান। সাফল্য এখানে থেমে থাকেনি।
তার নামের আগে যোগ হয়েছে ‘দুই বাংলার ভাইজান’। ওপার বাংলার এসকে মুভিজের সঙ্গে চারটি ছবির শাকিব খান কাজ করেছেন আরেক নামী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস(এসভিএফ)-এর সঙ্গে। এই প্রযোজনা সংস্থার ‘নেকাব’ ছবি মুক্তি পাবে আগামী ঈদুল আজহায়। ওই ছবির মুক্তি নিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে।
কলকাতার জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল সংগীত বাংলায় চোখ রাখলেই তাই ‘নেকাব’-এর প্রচারণা নিয়ে হাজির হচ্ছেন শাকিব খান। ছবিটি মুক্তির আগে ট্রেলারসহ ইউটিউবে প্রকাশ হয়েছে তিনটি গান। ‘নেকাব’ ছবির প্রথম গান ‘তোর হাঁটা চলা’ প্রকাশ হয় গত ২৪ জুলাই সন্ধ্যায়। ৯ আগস্ট পর্যন্ত শুধু এসভিএফ-এর ইউটিউব চ্যানেল থেকে গানটি দেখেছেন ৩৩ লাখ ১৬ হাজারের বেশি দর্শক। ইউটিউব থেকে গানটি দেখে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন প্রায় ১০ হাজার দর্শক।
এরপর দ্বিতীয় ‘তখন বাজে বারোটা’ প্রকাশ হয় গত ৩ আগস্ট। এই গানটি দেখেছেন প্রায় ৩২ লাখ দর্শক, মন্তব্য করেছেন ৮ হাজার। দুই গানেই শাকিবের সঙ্গে দেখা গেছে নুসরাত জাহানকে। এই ছবির ‘হয়ে আয়’ শিরোনামের আরেক গান প্রকাশ হয়েছে ৭ আগস্ট। নায়িকা সায়ন্তিকাকে নিয়ে শাকিবের এই গান দেখেছেন মাত্র দু’দিনে ১০ লাখের বেশি দর্শক।
দুই বাংলা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই ১৬ দিনে শাকিবের ‘নেকাব’ ছবির তিনটি গান দেখেছেন ৭৫ লাখের দর্শক। এছাড়া ২৮ জুলাই প্রকাশ হওয়া ‘নেকাব’ এর ট্রেলার দেখেছেন ১৭ লাখের বেশি দর্শক। প্রকাশ হওয়া ওই ট্রেলার দিয়ে দারুণ প্রশংসিতও হন ঢালিউডের এই সুপারস্টার।
কলকাতার শীর্ষ স্থানীয় গনমাধ্যমেও দেখা যাচ্ছে নায়ক শাকিবের বন্দনা। ‘নেকাব’ নির্মাণ করেছেন কলকাতার নির্মাতা রাজীব কুমার বিশ্বাস। যিনি এর আগে ‘দুজনে’, ‘পাওয়ার’, ‘পাগলু’, ‘বিন্দাস’, ‘খোকা ৪২০’-এর ব্লকবাস্টার ছবি নির্মাণ করে টলিপাড়ায় হইচই ফেলেছিলেন দিয়েছিলেন। নির্মাতা জানান, ‘নেকাব’ একটি ভৌতিক গল্পের ছবি। শাকিবকে এই ছবিতে একেবারে নতুনভাবে প্রেজেন্ট করা হয়েছে।
‘নেকাব’ ছবি ও এর গান নিয়ে শাকিব খান বলেন, গানগুলো নিয়ে মানুষের কাছ থেকে হিউজ সাড়া মিলছে। ট্রেলার নিয়ে ফিডব্যাক পেয়েছি ভালো। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গানগুলো নিয়ে বেশ সরগরম। ‘নেকাব’ এমন একটি ছবি যেটা সবার কাছে ভালো লাগবে। আমার দর্শকরা আমাকে নতুন নতুন চরিত্রে দেখতে চায়। আমি চেষ্টা করেছি তাদের চাওয়াকে প্রাধান্য দিতে।
যোগ করে শাকিব বলেন, ‘পরিচালকের কাছ থেকে চরিত্র বুঝে নিয়ে ঠিকঠাক আমার দায়িত্ব পালন করছি। পরিচালকেরাও আমাকে নিয়ে প্রতিনিয়ত নতুন ধরনের চরিত্রে কাজ করতে আগ্রহী। আমিও আনন্দ নিয়ে নতুন ভাবনার ছবিগুলোতে অভিনয়ের চেষ্টা করছি। দর্শকেরা আনন্দ পেলেই ভালো লাগবে।’
কলকাতার ছবি হলেও বাংলাদেশের দর্শক মুখিয়ে আছেন ‘নেকাব’ দেখার জন্য। তাই আমদানি করে এদেশে ‘নেকাব’ মুক্তি দেবে জাজ মাল্টিমিডিয়া। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আবদুল আজিজ চ্যানেল আই অনলাইনকে আগেই জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ বাংলাদেশের উৎসবে ভারতীয় ছবি মুক্তি দেয়া যাবে না। সেজন্য ঈদের পরপরই যত দ্রুত পারি ‘নেকাব’ মুক্তির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।